Organ Donation: মৃত্যুর পর দান করবেন দেহ, অঙ্গ! মেদিনীপুরের অধ্যাপিকার সাহসী ভাবনা

Last Updated:

Organ Donation: তিনি যেমন একদিকে অধ্যাপিকা তেমনই অন্যদিকে ডায়েটিসিয়ান। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর পাশাপাশি মানুষকে সুস্থ রাখতে দেন টিপস। তবে সমাজকে সুস্থ রাখতে এদিন তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন নিজের দেহদান এবং অঙ্গদানের। 

সার্টিফিকেট হাতে অধ্যাপিকা
সার্টিফিকেট হাতে অধ্যাপিকা
মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: সমাজের মেরুদণ্ড শিক্ষক। শিক্ষকেরাই সমাজ গড়ার কারিগর। বাবা-মায়ের পর ছেলে মেয়েদের অভিভাবক তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শুধু শিক্ষাদান কিংবা অধ্যাপনা করা নয়, উৎসবের মরশুমে এক অধ্যাপিকা যা করলেন তা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত। শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের শেখান নয়, শিখিয়েছেন গোটা সমাজকে। সমাজের কাছে বার্তা দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। শুধু অধ্যাপনা নয় কিংবা নিজের পেশাগত জীবনে চলা নয়, মৃত্যুর পরেও তিনি বেঁচে রইবেন সকলের মধ্যে।
সম্প্রতি, অঙ্গদান এবং দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের এক অধ্যাপিকা। যা বর্তমান সমাজে এক সাহসী পদক্ষেপ। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা, রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা শ্রাবন্তী পাইন। যার পড়াশোনা এবং চর্চা পুষ্টি বিজ্ঞান নিয়ে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি।
আরও পড়ুনঃ আরও বিপাকে কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস! ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে হুমকির অভিযোগ রঞ্জিত কর্মকারের পরিবার
প্রায় এক দশক ধরে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলেছেন সমাজের এক দেওয়াল হিসেবে। এগিয়ে দিয়েছেন সমাজের মূল স্রোতে। তবে নিজেই নিয়েছেন নিজের জীবনে এক সাহসী পদক্ষেপ। তার মৃত্যুর পর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং সম্পূর্ণ দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। তিন মাস আগে দেহ দান এবং অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
advertisement
advertisement
অধ্যাপিকার বক্তব্য, দৈহিক জীবনে শুধুমাত্র পড়াশোনা বা সমাজের হয়ে কাজ করা নয়, যে মানুষ সামান্য একটি অঙ্গের জন্য প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, নিজের মৃত্যুর পরেও তাদের পাশে দাঁড়ানর জন্য এই সিদ্ধান্ত।
মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায়, এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় তথা গোপ কলেজের এই অধ্যাপিকা। সংগঠনের সদস্য তথা শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত বলেন, অধ্যাপিকার এই সাহসী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তিনি শুধু একজন শিক্ষিকা নয়, প্রকৃত সমাজ গড়ার কারিগর। মৃত্যুর পর নশ্বর দেহকে প্রথাগতভাবে পুড়িয়ে ফেলা নয়, মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে রইবেন অনেকের শরীরে। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।
advertisement
তিনি যেমন একদিকে অধ্যাপিকা তেমনই অন্যদিকে ডায়েটিসিয়ান। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর পাশাপাশি মানুষকে সুস্থ রাখতে দেন টিপস। তবে সমাজকে সুস্থ রাখতে এদিন তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন নিজের দেহদান এবং অঙ্গদানের। শিক্ষিকার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Organ Donation: মৃত্যুর পর দান করবেন দেহ, অঙ্গ! মেদিনীপুরের অধ্যাপিকার সাহসী ভাবনা
Next Article
advertisement
Cyclone Montha Update: উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ ! কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে? ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে
উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ ! ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে, ঘূর্ণিঝড়ের কী প্রভাব এরাজ্যে?
  • উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ !

  • কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে?

  • ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে

VIEW MORE
advertisement
advertisement