West Medinipur News: পূর্ব পুরুষদের পেশা টিকিয়ে রাখা, বাঁশের ঝুড়ি মেটায় না খিদে, জানুন

Last Updated:

এককালে এটাই ছিল মানুষের রুটি রুজি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেটের ভাত যোগায় না পূর্বপুরুষদের এই পেশা।

+
বাঁশের

বাঁশের ঝুড়ি বানাচ্ছেন মহিলারা

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদা বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে মানুষের রুচি। সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসেছে নানা টেকসই জিনিস। বাঁশের ঝুড়ির বদলে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের ঝুড়ি। স্বাভাবিকভাবে এক কালে ব্যবহৃত বাঁশের তৈরি নানা জিনিসের ব্যবহারের একদিকে যেমন চাহিদা কমেছে তেমনিই প্রস্তুতিতে বেশ ভাটা পড়েছে। এককালে এটাই ছিল মানুষের রুটি রুজি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেটের ভাত জোগায় না পূর্বপুরুষদের এই পেশা।
মানুষের চাহিদা না থাকায় বাঁশের তৈরি নানা জিনিস এখন প্রস্তুত করেনা গ্রামীণ এলাকার শিল্পীরা। দৈনন্দিন হাটে কিংবা বাজারে সামান্য বিক্রির আশায় বাড়ির মহিলারা অন্যান্য কাজের অবসরে তৈরি করছেন কুলো। যার থেকে সামান্য আয় রোজগারের আশা দেখছেন তারা। বাঁশ দিয়ে কুলো নয়, তৈরি করছেন ছোট, বড় একাধিক আকৃতির ঝুড়ি।
advertisement
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মানুষের আয় রোজগারের উৎস ছিল বাঁশের তৈরি নানান জিনিস প্রস্তুতি। কিন্তু কালের নিয়মে সেই সকল জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন আর সেই পেশায় নেই বহু পরিবার। তবে, বেশ কিছু পরিবার এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের পূর্বপুরুষদের পেশা। অন্যান্য কাজের অবসরে বাড়ির মহিলারা তৈরি করছেন ছোট্ট ঝুড়ি এবং কুলো। বাঁশকে কেটে বিভিন্নভাবে তারা এই কুলো, বড় ঝুড়ি বানাচ্ছেন।
advertisement
প্রসঙ্গত, বাঁশের তৈরি এই কুলো ঝুড়ির চাহিদা বেশ ছিল এককালে। বাড়িতে চাষের কাজের পাশাপাশি, ধান ঝাড়া-সহ একাধিক কাজে ব্যবহার হত কুলো। অন্যদিকে পান এর রফতানি সহ একাধিক কাজে ঝুড়ির ব্যবহার হয়। তবে বর্তমান দিনে প্লাস্টিক-সহ অন্যান্য জিনিসের প্রভাব বাড়ায় চাহিদা কমেছে এই সকল জিনিসের। তবে এখনও সামান্য আয় রোজগারের আশায় বাড়ির পুরুষ ও মহিলারা তৈরি করছেন কুলো, ঝুড়ি।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম বেলিয়া ভুঁইয়াহাতা। এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার এখনও বাঁশ দিয়ে কুলো, ঝুড়ি প্রস্তুত করেন। একটা বাঁশ কিনে তার থেকে ৪-৫ টা কুলো, সামান্য কয়েকটি ঝুড়িও প্রস্তুত করেন তারা। তবে বর্তমান দিনের সেই জিনিসের চাহিদা কম। তবুও বাড়ির সাংসারিক কাজের অবসরে এই জিনিস বানিয়ে আশার আলো দেখছেন তারা। পূর্ব পুরুষদের পেশা কোনওভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে কয়েকটি পরিবার।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: পূর্ব পুরুষদের পেশা টিকিয়ে রাখা, বাঁশের ঝুড়ি মেটায় না খিদে, জানুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement