নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় সুতোয় ঝুলছে দুই ২৪ পরগনা...! ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখলে আপনিও ১০ বার ভাববেন, কী করে চলে!

Last Updated:

এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় দুই ২৪ পরগণার কয়েক হাজার গ্রামবাসীদের। আর সেই সাঁকোর বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই বেহাল। 

+
দুই

দুই জেলার সংযোগকারী নড়বড়ে বাঁশের মাধ্যম 

উত্তর ২৪ পরগনা: দুই ২৪ পরগণাকে ‌যুক্ত করা বাঁশের সাঁকো বেহাল, বিপদে হাজারও সুন্দরবনবাসী। সুন্দরবনের ছোট কলাগাছি নদীর উপর বাঁশের সাঁকোর বেহাল দশা, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে সাঁকো মেরামতির উদ্যোগ নিলেন, প্রশাসন নিরব।
বসিরহাটের সুন্দরবনের সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের ছোট কলাগাছি নদীর উপরে রয়েছে বাঁশের সাঁকো। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় দুই ২৪ পরগণার কয়েক হাজার গ্রামবাসীদের। আর সেই সাঁকোর বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই বেহাল। সাঁকোটি ২০০ মিটার লম্বা ও ১ মিটার চওড়া। এই সাঁকোর উপর দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এইটি।
advertisement
advertisement
সাঁকোর এক পাড়ে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়মজুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর বাজার, আকুঞ্জীপাড়া ও বাগদী পাড়া। অপর পাড়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক‍্যানিং দু’নম্বর ব্লকের আঠারোবাকি গ্রাম পঞ্চায়েতের নয় নম্বর কুমড়াখালী, লম্বা পাড়া, খেঁজুর পাড়া, ডাহারানি ও হেবিয়া। সেজন্য দুই ২৪ পরগণার সংযোগস্থল একমাত্র এই সাঁকো। আর সেই সাঁকোর একেবারেই বেহাল দশায় পরিণত হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। নদীর দুই পাড়েই প্রশাসনের একাধিক দফতর রয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল ও হাটবাজার এই সমস্ত জায়গায় যেতে গেলে একেবারেই জীবন হাতে করে পারাপার করতে হয়। একাধিক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের ও সাধারণ মানুষকে। তারপরেও প্রশাসনের হেলদোল নেই।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সাঁকোটি পচা বাঁশ ও পেরেকের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। নদীতে জোয়ার এলে সাঁকো কাঁপতে থাকে। সেই সময় পারাপার করতে গেলে ভয়ে কুঁকড়ে যান মহিলা ও শিশুরা। তাই গ্রামবাসীদের দাবি ছিল এই বাঁশের সাঁকো সরিয়ে যদি একটি কংক্রিটের সেতু করা যায়। কিন্তু আজও পর্যন্ত পাকা তো হলই না, বরং বর্তমান যে বাঁশের সাঁকোটি রয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ গ্রামবাসীদের চাঁদা তুলে সমাধান করতে হয়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা একরকম ভরসা ছেড়ে দিয়েছেন। গ্রামের মানুষ জানাচ্ছেন, দুই পাড়ে দুটি পঞ্চায়েত রয়েছে প্রচুর সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে আশা কর্মী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে একাধিক জরুরী বিভাগের মানুষজন এই সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। তারপরেও নজর নেই প্রশাসনের। কবে হুঁশ ফিরবে একথা প্রশাসনে কোনও আধিকারিক বলতে পারলেন না।
advertisement
জুলফিকার মোল্যা 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় সুতোয় ঝুলছে দুই ২৪ পরগনা...! ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখলে আপনিও ১০ বার ভাববেন, কী করে চলে!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement