বৈদ্যবাটিতে কাজে এসে কেতুগ্রামের কিশোরের রহস্যমৃত্যু! সারা শরীরে...! চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের

Last Updated:

মৃতের পরিবারের দাবি, এক বছর আগে গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বৈদ্যবাটির একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতে গিয়েছিল কৃষ্ণ

বৈদ্যবাটিতে কাজে এসে কেতুগ্রামের কিশোরের রহস্যমৃত্যু
বৈদ্যবাটিতে কাজে এসে কেতুগ্রামের কিশোরের রহস্যমৃত্যু
কেতুগ্রাম, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: বৈদ্যবাটিতে কাজে এসে রহস্যজনক মৃত্যু কেতুগ্রামের কিশোরের, চাঞ্চল্য গোপালপুরে। হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি শহরের একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এক কিশোরের। মৃতের নাম কৃষ্ণ হাজরা (১৭)। সে কেতুগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামের শিবতলা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়াত কিশোরের মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামে পৌঁছলে শুরু হয় উত্তেজনা। মৃতদেহের সঙ্গে দোকানে কর্মরত আরও তিন কিশোর কর্মীকেও পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পাচ্ছে মাটি! সাড়া ফেলে দিয়েছে ‘এই’ ব্যক্তির প্রতিভা
মৃতের পরিবারের দাবি, কৃষ্ণ এক বছর আগে গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বৈদ্যবাটির একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতে যায়। কিন্তু সেই সময় থেকে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি। হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে দোকানের মালিক ফোন করে কিশোরের বাবা গোপাল হাজরাকে ছেলের মৃত্যুর খবর দেন। জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণর। এরপর দুপুর বারোটা নাগাদ একটি অ্যাম্বুলেন্স করে মৃতদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সঙ্গে ছিল ওই দোকানের তিনজন কিশোর কর্মী, রতন পাল, অমিত কুমার যাদব ও বিদ্যুৎ ঘোষ।
advertisement
advertisement
কৃষ্ণর মৃতদেহের সঙ্গে একটি ডেথ সার্টিফিকেটও পাঠানো হয়েছিল, সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগের কথা উল্লিখিত ছিল। তবে মৃতদেহ দেখেই সন্দেহ জাগে পরিবারের। তাঁদের দাবি, কৃষ্ণের দু’পায়ের আঙুলে ছিঁড়ে যাওয়ার চিহ্ন ছিল, বাম পা ফুলে গিয়েছিল এবং গলায় দাগ ছিল। মৃতের জেঠতুতো দাদা সন্তু হাজরা বলেন, হঠাৎ মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অথচ আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের সন্দেহ, ভাইকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উঠে আসুক এবং পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সেতুর ওপর দিয়ে জলপ্রকল্পের পাইপলাইন! এলাকাবাসীর প্রতিবাদে মাঝপথেই আটকে গেল কাজ
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণর মা করুণা হাজরার পাঁচ বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে। কৃষ্ণ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে জীবিকার তাগিদে কাজে বেরিয়ে পড়ে, বাবার সঙ্গেই থাকত সে। মঙ্গলবার কান্দরা রামজীবনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণর বাবা গোপাল হাজরা বলেন, ওরা আমার ছেলেকে চার মাস ধরে বেতন দেয়নি। মাসে আট হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে, এটা মানতে পারছি না।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে মৃতদেহের সঙ্গে আসা বৈদ্যবাটির দোকানের তিন কিশোর কর্মী জানায়, হঠাৎ করেই কৃষ্ণর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছিল। দোকানের মালিক বাইকে করে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে মৃতের পরিবার।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বৈদ্যবাটিতে কাজে এসে কেতুগ্রামের কিশোরের রহস্যমৃত্যু! সারা শরীরে...! চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement