Kali Puja 2025: তারাপীঠ মন্দির নির্মাণে বাড়িয়ে দিয়েছিল হাত, সেই রাজপরিবারেই ১৩ কালীর আরাধনা, বিশাল আয়োজন! কোথায় জানুন

Last Updated:

প্রায় ৩০০ বছরের এই পুজো জমিদারবাড়ির। কালীপুজোর রাতে গোটা গ্রাম জুড়ে চলল মেলা। গোটা গ্রাম সাজানো হয়েছিল আলোর রোশনায়।

+
এড়োয়ালি

এড়োয়ালি গ্রামের বিখ্যাত কালীপুজো

মুর্শিদাবাদ, তন্ময় মণ্ডল: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের এড়োয়ালি গ্রামের কালীপুজো বিখ্যাত। প্রায় ৩০০ বছরের এই পুজো জমিদারবাড়ির। কালীপুজোর রাতে গোটা গ্রাম জুড়ে চলল মেলা। গোটা গ্রাম সাজানো হয়েছিল আলোর রোশনায়। মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও বীরভূম থেকেও সাধারণ মানুষ ছুটে এলেন এক রাতের এই রাজকীয় উৎসব দেখতে।
কালীপুজো উপলক্ষে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা থেকে গ্রামে ফেরেন বংশধরেরা। জমিদার মহেশদাস রায়ের মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র রামজীবন এক বিশাল সাম্রাজ্য গঠন করে ১৬৫৬ সালে সিংহাসনে বসেন। তারাপীঠের মন্দির নির্মাণে তাঁর অবদান ছিল। উনিই রাজবাড়িতে কালীপুজো শুরু করেন। বর্তমানে পরিবার শরিকে বিভক্ত হওয়ায় পুজোর সংখ্যা ১৩। তবুও রাজপরিবারের আজও রাজা রামজীবন রায়ের প্রতিষ্ঠিত কালীপুজো ঐতিহ্যবাহী। এই একদিনই রায়চৌধুরী রাজবংশ ফিরে যায় রাজ আমলে। দূরদূরান্ত থেকে আসেন আত্মীয়রা। পুজো হয়ে ওঠে এক মিলনমেলা। নজরকাড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা।
advertisement
advertisement
বর্তমানে, রাজা নেই, সেই রাজপাটও নেই। কিন্তু কালীপুজোর দিন একরাতের রাজা হয়ে উঠেন এলাকার বাসিন্দারা। সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত লাগামহীন আনন্দে মেতে উঠে মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের রাজার গ্রাম এড়োয়ালী। এড়োয়ালী গ্রামের শারদ উৎসব বলতে ওই কালীপুজোকেই বলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ওই গ্রামের রাজা ছিলেন রাম জীবন রায়। তিনিই ওই গ্রামে প্রথম কালীপুজোর সূচনা করে ছিলেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো যখন থেকে শুরু হয়েছিল, সেই তখন থেকেই ওই পরিবারে এক রাতে চারটি কালীর পুজো হয়। সময় গড়ালেও সেই নিয়মের পরিবর্তন ঘটেনি। পারিবারিক সূত্রে দাবি, রাজা রামজীবন রায়ের বংশধর বলতে ছিলেন তিন ছেলে। দেবদত্ত রায়, শ্যামসুন্দর রায় ও ইন্দ্রমুনি রায়। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এড়োয়ালীর ওই রাজ পরিবারকে চৌধুরী উপাধি দেয়। তারপর থেকেই ওই পরিবারকে রায় চৌধুরী পরিবার বলেই পরিচিত। কথিত আছে, রাজা রামজীবনের ছেলে ইন্দ্রমুনি খুব অল্প বয়সেই মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় অপর দুই ভাই দেবদত্ত ও শ্যামসুন্দর রাজপাট ভাগ করতে বসেন। সম্পত্তি ভাগ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজোপাটেরও ভাগ হয়ে যায়। বড় পাঁচ আনা, ছোট পাঁচ আনা ও ছয় আনা পরিবারের পুজো বলেই পরিচিত আছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।
advertisement
১৩টি কালীমূর্তির নামকরণও আছে। যেমন বড় পাঁচ আনা পরিবারের বেলবুড়ি, টুঙ্গিবুড়ি, কুলবুড়ি ও শ্যামবুড়ির পুজো করে। ছোট পাঁচ আনা পরিবার আমরাবুড়ি ও মৌলবুড়ির পুজো করে। আর ওই অন্যদিকে পৃথক পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল একটি ধর্মবুড়ি ও অপরটি ষষ্ঠীবুড়ি। ছয় আনা পরিবারের চারটি কালীপুজো হয়। বড়কালী, মঠকালী, নিমবুড়ি ও চাতরবুড়ি। এদের মধ্যে পুজো হচ্ছে চাতরবুড়ি। ওই সমস্ত কালীপুজো এলাকার কোনও না কোনও গাছের নীচে হত। তাই যে গাছের নীচে পুজো হত সেই গাছের নামে ওই কালীর নাম দেওয়া হয়েছিল। কালীপুজোর রাতে মূলত আলোকসজ্জা দেখতেই ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন। এক রাতের উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামবাসী।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: তারাপীঠ মন্দির নির্মাণে বাড়িয়ে দিয়েছিল হাত, সেই রাজপরিবারেই ১৩ কালীর আরাধনা, বিশাল আয়োজন! কোথায় জানুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement