Monsoon Forestation: বন দফতরের নজরকাড়া সাফল্য! বর্ষায় শাল, মহুল, অর্জুন, জারুলগাছের ডালে পাখির ডাকে মুখরিত বাঁকুড়ার তালডাংরা

Last Updated:

Monsoon Forestation: বহেড়া, পিয়াশাল, মহুল, করঞ্জ, ডোকা, চললা, সেতিশাল, হলুদ, অর্জুন,  জারুল, জামগাছের সবুজের ঘনঘটার এক অপূর্ব মহামিলন।

তালডাংরার বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা সারা বছর বনসুরক্ষার ব‍্যবস্থা করে থাকে
তালডাংরার বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা সারা বছর বনসুরক্ষার ব‍্যবস্থা করে থাকে
তালডাংরা : বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা  বনাঞ্চলে বহেড়া, পিয়াশাল, মহুল, করঞ্জ, ডোকা, চললা, সেতিশাল, হলুদ, অর্জুন,  জারুল, জামগাছের সবুজের ঘনঘটার এক অপূর্ব মহামিলন। সবুজের মাঝে বিচিত্র সব পাখির ডাকে তালডাংরা মুখরিত হয়ে উঠেছে। তালডাংরা রেঞ্জের আয়তন কম নয়। সম্মিলিত আয়তনের মধ‍্যে তালডাংরা বিট হল ১৯৩৪.৮৫ হেক্টর, আসনা বিট-১৭৫৫.৬৩ হেক্টর, পাঁচমুড়া বিট ২০৭৫.৬১ হেক্টর। এই বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে শাল গাছের প্রাধান‍্যই বেশি। বৃক্ষরোপণ সফল হয়েছে দৃঢ় রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারিতে। উল্লেখ‍্য, তালডাংরার বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা সারা বছর বনসুরক্ষার ব‍্যবস্থা করে থাকে। সুফল মিলেছে হাতেনাতে।
গত দু’ বছরে (২০২১-২২ সালে) রোপণ হয়েছে ১,৬৮,৮৪,৮৪৫টি চারাগাছ। ২০২২-২৩ সালে শালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে ১৪,৪০০টি। আকাশমণি এবং অন‍্যান‍্য গাছের চারার সংখ্যা ১,১২,৪৪৫টি। ২০২৩-২৪ সালের অর্থবর্ষে লাল চন্দনের  ১৩,২০০টি চারাগাছ রোপণ করা হয়েছে। এই জেলার স্কুল ও  কলেজগুলিতেও ‘একটি গাছ, একটি প্রাণ’ সরকারি স্লোগানে সাড়া ফেলেছে যথেষ্ট।
তবে এইসব পরিসংখ্যানের নেপথ‍্যে রয়েছে আরও একটি বড় সাফল্য। তা হল ৩৬,০২০ টি  শ্রমদিবস তৈরি করা। এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন দরিদ্র আদিবাসীরা। নতুন বাগান সৃষ্টির জন্য মাটি উর্বর করা, বাড়তি জঙ্গল সাফাইয়ে এদের দক্ষতা পু্রোপুরি কাজে লাগানো এই শ্রমদিবসের মাধ‍্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিট ফল, এদের আর্থ-সামাজিক মান অনেক উন্নত হয়েছে গত দশ বছরের তুলনায়।
advertisement
advertisement
তালড্যাংরায়  “চেঁচুড়িয়া ইকো-পার্ক”  ও সাফল্যের আরও একটি উদাহরণ।। এক সময়ে তালডাংরা বনাঞ্চলের মধ্যে আদিবাসী অধ‍্যুষিত গ্রাম দালানগোড়ায় বসবাস করত ৩৬টি পরিবার। দিনমজুরি ছাড়াও ৮৫ হেক্টর শালবাগানের পাতা ও কাঠের ওপরই তাঁরা পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু দারিদ্র্য ঘুচত না। বনবিভাগ উদ‍্যোগী হয়ে ১৯৯৭ সালে ওখানে বিশাল জলাধার নির্মাণ করেন। সেটি ঘিরেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এই ইকো-পার্কটি। কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়। যার সুফল পেলেন ওই আদিবাসী অধ‍্যুষিত গ্রামবাসীরাই। ফলে তাঁদের আর্থিক সংস্থানেরও আমূল পরিবর্তন ঘটে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে গড়ে ওঠে পর্যটক আবাসও। বনবিভাগ ও দালানগোড়া বনসংরক্ষণ পরিচালিত এই ইকোপার্কটি সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতার জন‍্য ইতিমধ‍্যেই নজর কেড়েছে দেশের পরিবেশবিদদের কাছেও।
advertisement
আরও পড়ুন : কয়েক মুঠো Dry Fruits ব্লাড প্রেশারের মহৌষধ! কোলেস্টেরল কমিয়ে রোগমুক্ত রাখে হার্ট
অন‍্যান‍্য জেলার সঙ্গে রাজ‍্য সরকারের ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পও সাড়া ফেলেছে বাঁকুড়া জেলায়। এই প্রকল্পে রাজ‍্যের প্রতিটি নবজাতক শিশুর পরিবারের সদস‍্যকে একটি করে বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। মূল লক্ষ্য হল, প্রতিটি শিশুর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজ‍্যকে আরও দূষণমুক্ত করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রকল্পের শুরু অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকে। গত বছর পর্যন্ত সদ‍্যোজাত শিশুর পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫৬,৮৮৬০৩টি গাছের চারা বিলি করা হয়েছে। দূষণমুক্ত বাংলার গড়ার লক্ষ্যে রাজ‍্য সরকারের  এ এক অভিনব প্রয়াস।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Monsoon Forestation: বন দফতরের নজরকাড়া সাফল্য! বর্ষায় শাল, মহুল, অর্জুন, জারুলগাছের ডালে পাখির ডাকে মুখরিত বাঁকুড়ার তালডাংরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement