#বর্ধমান: করোনা ঠেকাতে বর্ধমানে বৃহস্পতিবার মিনি লকডাউন হল। সংক্রমণ ঠেকাতে এদিন বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকার সব দোকান বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছিল। এই বিধিনিষেধ যাতে মানা হয় তা দেখতে তৎপর ছিল পুলিশ প্রশাসন।
দোকান বাজার বন্ধ থাকায় এদিন শহরের রাস্তায় লোক চলাচল অনেক কম ছিল। সেভাবে যানবাহনও রাস্তায় নামেনি। এদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় টাউন সার্ভিস বাসও কম চলেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার থেকে বর্ধমান শহরে নয়া বিধি নিষেধ চালু হয়েছে। তার জেরে এদিন শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় সব দোকান পাট বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন- অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল ব্যাপক সফল! একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত ব্যারাকপুরের
সবজি, মাছের বাজার, মিষ্টির দোকানও এদিন বন্ধ রাখা হয়। বিধি নিষেধের নজরদারিতে রাস্তায় নামে পুলিশ প্রশাসন। শহরের জি টি রোড, বীরহাটা, পুলিশ লাইন বাজার, আলমগঞ্জ, উল্লাস, স্টেশন বাজার, তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় টহল দেয় পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমান প্রত্যেক দিন বেড়েই চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় ৭৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ধমান শহরেই ২২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ রুখতে বর্ধমানে মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার অভিযান চলে। শহরের জি টি রোড ও বাজার এলাকাগুলিতে অভিযান চালানো হয়। রবিবারও এই রকম মিনি লকডাউন চলবে। এই দুদিন বন্ধ রাখতে হবে বাজার হাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সেই বিধি নিষেধ ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বাজারে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগর নিয়ে আশঙ্কা ছিলই, এরই মধ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দু'জন! কিন্তু কেন?
বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস জানান, কোভিড নিয়ন্ত্রণে শহরের বাজারগুলিতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ চালু করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে বুধবার থেকে টানা সাত দিন শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় সব চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানা সাতদিন বন্ধ থাকছে রাস্তার পাশের হোটেল ও ফাস্ট ফুডের দোকানও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।