হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
নরম মাংসের লোভে নির্দয়ভাবে মারা হচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের, চিন্তায় কালনা প্রশাসন

নরম মাংসের লোভে নির্দয়ভাবে মারা হচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের, চিন্তায় কালনা প্রশাসন

বনদফতরের এক আধিকারিক বলেন, "নানাভাবে এই পাখিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা খবর পাচ্ছি। এই এলাকায় অনেক ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটায় কাজ করতে আসা শ্রমিক ও স্থানীয় কিছু মানুষ মাংস খাওয়ার জন্য ফাঁদ পেতে পাখি ধরা শুরু করেছে।"

  • Share this:

#দক্ষিণবঙ্গ: ঘুড়ির চিনা মাঞ্জার সুতোয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা! তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার কালনায় প্রচার শুরু করল বনদফতর। পরিযায়ী পাখিদের যাতে কোনও ভাবেই বিরক্ত না করা হয়,তাদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিয়ে শুরু হল সচেতনতা মূলক প্রচার। পাখিদের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কালনা পুরসভাও।

শীতের হিমেল হাওয়া বঙ্গে প্রবেশ করতে না করতেই এবার কালনার ছাড়িগঙ্গায় দেখা মিলেছে প্রচুর পরিযায়ী পাখির। বন দফতরের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই কালনায় বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছে। আগামিদিনে এই এলাকায় পাখিরালয় গড়ে ওঠারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বনদফতর। কিন্তু বর্তমানে এই পরিযায়ী পাখিদের নিরাপত্তাই অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে উত্তরীয় পরিয়ে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্তকে ঐক্যের বার্তা

বনদফতরের এক আধিকারিক বলেন, "নানাভাবে এই পাখিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা খবর পাচ্ছি। এই এলাকায় অনেক ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটায় কাজ করতে আসা শ্রমিক ও স্থানীয় কিছু মানুষ মাংস খাওয়ার জন্য ফাঁদ পেতে পাখি ধরা শুরু করেছে। ছাড়িগঙ্গায় ধানের বীজতলা তৈরির কাজেও আসেন অনেকে। তাঁদেরও কেউ কেউ এই কাজ করছেন। পাশাপাশি, ছাড়িগঙ্গায় ঘুড়ি ওড়ানো হচ্ছে। সেই সুতোয় পাখির ডানায় ক্ষত হচ্ছে।"

পরিযায়ী পাখিরা যাতে ছাড়িগঙ্গায় নিরাপদে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বনদফতরের দুই প্রতিনিধি এবং কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েলের উপস্থিতিতে এলাকায় সচেতনতা মূলক প্রচার শুরু করা হয়েছে। প্রচার কর্মসূচিতে রাখা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। ছাড়িগঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় পাখি না ধরার আর্জি জানিয়ে বনদফতরের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। জানানো হচ্ছে,পাখি শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই কাজে দোষী প্রমাণিত হলে ৭ বছরের কারাবাস এবং ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ছাড়িগঙ্গা লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই প্রচার ধারাবাহিক ভাবে চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Kalna, Migratory Birds, Wild life