বেনজির কাণ্ড নন্দীগ্রামের বয়ালে, আটকে প্রার্থী মমতাই, সিআরপিএফ কই!

Last Updated:

প্রশ্ন থাকছে, এত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীর ১০০ মিটারের মধ্যে কী ভাবে এই বেনজির হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়!

#নন্দীগ্রাম: বেনজির পরিস্থিতি। নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নং বুথে কম পক্ষে একঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকে রয়েছেন, বাইরে লাঠি, বাঁশ হাতে একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রায় সংঘর্ষে নেমে গিয়েছে দুই পক্ষ, এই পরিস্থিতি কার্যত নজিরবিহীন। এই ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, সিআরপিএফ-ই বা কোথায়! এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চরম বিক্ষুব্ধ এই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন চাইছেন। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, এত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীর উপস্থিতির ২০০ মিটারের মধ্যে কী ভাবে এই বেনজির হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়! কেন এক ঘণ্টারও বেশি বুথ ছেড়ে সময় বেরোতেই পারছেন না তৃণমূল নেত্রী? কেন স্থগিত দেড় ঘণ্টারও বেশি স্থগিত রাখতে হচ্ছে বয়ালের এই কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া?
এ দিন সকাল থেকেই প্রবল ঝামেলার খবর আসছিল নন্দীগ্রামের হয়াল অঞ্চল থেতে। সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বেবিয়ে সেই বয়ালের ৬ নং বুথে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি পৌঁছতেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট অভিযোগ করেন, এই বুথগুলি দখল করে ছাপ্পা ভোট দেওয়া চলছে। বিহার উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক এসে এই ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে. হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে দাবি মমতার। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। এখানে উল্লেখ্য মমতা অতীতেও বারংবার অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামে বহু বহিরাগত ঢুকেছে।
advertisement
advertisement
advertisement
‌আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত রেয়াপাড়ার বাড়িতেই ছিলেন মমতা, নজর রাখছিলেন পরিস্থিতিতে। তারপর সকাল থেকে দফায় দফায় আসা অভিযোগ যাচাই করতে তিনি বেরিয়ে পড়েন। মমতা বয়ালের ৭ নং বুথে পৌঁছলে বাইরে ১০০ মিটারের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় মিনিট দশেকেই। চার দিক থেকে ওই বুথ ঘিরে বহু লোক জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলতে থাকে, তারা কি এলাকার মানুষ নাকি বহিরাগত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। ইঁট, বাঁশ হাতে জমায়েত করতে দেখা দুপক্ষকেই। উল্লেখ্য বিক্ষুব্ধ দুপক্ষই অন্যকে বহিরাগত বলে দাবি করতে থাকেন। পরিস্থিতি কার্যত বেনজির হয়ে ওঠে। পুলিশ মানুষকে বোঝাতে শুরু করে। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। মাছি গলতে পারবে না এমন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতারাই। ২১ হাজারেরও বেশি আধাসেনা রয়েছে নন্দীগ্রামে। কথা ছিল যে এলাকায় একটি বুথ সেখানে ৮ জন, যেখানে দুটি বুথ সেখানে ১৬ জন মজুত থাকবে। এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়।
advertisement
সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রের প্রার্থী যখন প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে আসে, তখন এত কাছে এমন বেনজির জমায়েত হয় কী করে! কী করছিলেন সিআরপিএফ কর্মীরা! কার্যক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে দিশেহারাই দেখাল কেন বাহিনীকে! ঘটনাস্থলে কেন পর্যাপ্ত বাহিনী রইল না, এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বেনজির কাণ্ড নন্দীগ্রামের বয়ালে, আটকে প্রার্থী মমতাই, সিআরপিএফ কই!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement