#নন্দীগ্রাম: ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমিতে। আর সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা অধিকারী পরিবারকেই নিশানা করছেন তিনি। এমনকী ১৪ বছর আগের নন্দীগ্রাম গণহত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যেও অধিকারীদের ভূমিকার কথা উঠে এসেছে তাঁর মুখে। সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দুদের আঁতাত নিয়ে সরব হচ্ছেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দু শুরু থেকেই নন্দীগ্রামে ধর্মীয় মেরুকরণের যে রাজনীতি শুরু করেছেন, তার অন্যথা হল না সোমবারও। মঙ্গলবার বিকেলেই নন্দীগ্রামে ভোটের শেষ প্রচার। তার আগের দিন নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, 'আমি স্থানীয় ছেলে, তাই এখানেই থাকব। বাকি যাঁরা উড়ে এসেছেন, তাঁরা আবার উড়ে চলে যাবেন।'
প্রসঙ্গত, তৃণমূল যখন মমতার জন্য 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' বলে গোটা রাজ্যে প্রচারে নেমেছে, শুভেন্দু সেখানে নিজেকে নন্দীগ্রামে 'ঘরের ছেলে' বলে নিজেকে দেখানোর চেষ্টা করছেন। যদিও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। আর তখনই তিনি বলে উঠেছেন, 'নন্দীগ্রামে ঝামেলা করছেন পাকিস্তানিরা', আবার কখনও বলেছেন, তৃণমূল ফিরলে বাংলা কাশ্মীর বা বাংলাদেশ হয়ে যাবে।
যদিও নন্দীগ্রাম গণহত্যায় মমতার আক্রমণের মুখে পড়ে শুভেন্দু গোটা বিষয়টিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, 'উনি যা বলেন, সব মিথ্যা কথা। ওনার কাছে এখন লোকে কাজ চাইছে, কাজ নেই। শিল্প চাইছে, শিল্প নেই। এসব কথা বলে এখন লাভ নেই। মানুষ ওনাকে বিশ্বাসই করে না।'
একইসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, 'অমিত শাহ কমসম করে বলেছেন ৩০-এ ২৬ পাবেন। আমি বলছি, প্রথম দফার ভোটের ৩০ আসনের ৩০টিই আমরা পাব। মানুষ তোষনের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্যই হল, সবকা সাথ-সবকা বিকাশ। মানুষ সেই বিকাশের স্বার্থেই ভোট দিয়েছেন।'