#নন্দীগ্রাম: শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে বাংলা দখলের লড়াই। আর তার আগেই ভোটে অশান্তির আশঙ্কা করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, এবারের ভোটের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে রেখেছে বিজেপি৷ তৃণমূলের অভিযোগ, ভগবানপুর, পটাশপুর, এগরা, নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে অশান্তি করতে পারে ওই দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার ও ডেরেক ও ব্রায়েন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, 'চার পাঁচজন লোককে নিয়ে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। মিথ্যা কথা বলছে।'
তৃণমূল তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ভোটের আগে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বহিরাগতদের আনা হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে তারা মিশে রয়েছে৷ এদিনই দাসপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, 'সব খবর আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত এগারোটার সময় উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা অস্ত্র হাতে ধরা পড়েছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কী করার ষড়যন্ত্র করছে এঁরা, মীরজাফররা? এদের জবাব দেবেন।' এরপরই কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে কাকলী ঘোষদস্তিদার বলেন, 'আমাদের কাছে খবর আছে, মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এগরা, পটাশপুর, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করবে। মানুষের ভিড়ে মিশেই বহিরাগতরা নিজেদের কাজ করবে। আমরা কমিশনকে বলেছি, এসব জায়গায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়, তার ব্যবস্থা করতে। আগেও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, বিজেপি বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করতে দেবে না।'
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র কটাক্ষ, 'মমতা দিদি মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। বহিরাগত যদি কাউকে কোথাও খুঁজে পান, তাহলে ছবি তুলে দেখান। তৃণমূলকে বিশ্বাস করার দিন বাংলায় চলে গেছে।'
অপরদিকে, সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে খবর, হলদিয়ার বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক ও নন্দীগ্রাম থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ওই আধিকারিকরা শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন, তাই তাঁদের সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।