বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়েছেন, তবুও দাপিয়ে কাজ করে চলেছেন হাওড়ার মৃৎশিল্পী মন্টু পাল

Last Updated:

প্রায় সাত থেকে আট দশক ধরে বাইনানের মন্টু পাল হাতে চাকা ঘুরিয়ে তৈরি করে চলেছেন বিভিন্ন মাটির পাত্র

+
মৃৎশিল্পী

মৃৎশিল্পী মন্টু পাল

#রাকেশ মাইতি, হাওড়া: বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। শুধু সংস্কৃতি বা সৌন্দর্য নয়, কয়েক দশক আগে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে দারুনভাবে ব্যবহার হত মাটির তৈরি সামগ্রী। সে সময় রমরমিয়ে চলত মাটির শিল্প, জেলা জুড়ে ঘরে ঘরে দিন-রাত এই কাজ চলত, বর্তমানে বিভিন্ন ধাতু ও প্লাস্টিক ফাইবারের দাপটে মুখ থুবড়ে পড়েছে মাটির শিল্প।
আজকাল দৈনন্দিন কাজে মাটির জিনিস ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একসময় হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বহু পরিবার মাটির শিল্পে নির্ভর ছিল। এখন সেই সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছে। তবে জেলায় এখনও কিছু শিল্পী মাটির শিল্পকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। যদিও বাংলার এই শিল্পে  নতুন প্রজন্ম আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, সেই সঙ্গে যাঁরা দশকের পর দশক এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন, তাঁরাও পরবর্তী প্রজন্মকে এই পেশায় যুক্ত করতে চাইছেন না। ফলে আগামিদিনে হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এই শিল্প, এমনটাই মনে করছেন হাওড়া বাইনান পশ্চিম পাড়ার প্রবীণ শিল্পী মন্টু পাল।
advertisement
এক সময়ে হাওড়া জেলা জুড়ে মৃৎশিল্পের আধিপত্য ছিল, প্রায় প্রতিটি ব্লকে কয়েকশো পরিবার এই পেশায় যুক্ত ছিল ! এখন জেলা জুড়ে সেই সংখ্যা হাতে গোনা। কারণ? চাহিদা কমেছে,। উৎপাদন খরচ বাড়লেও তৈরি জিনিসের দাম সেভাবে মেলেনা।
advertisement
মৃৎশিল্পীরা বলছেন, সারা বছর সামান্য চাহিদা থাকে, পুজো, আচার-অনুষ্ঠানে কিছুটা চাহিদা বাড়ে, কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না।
advertisement
তবে এত প্রতিকূলতার মাঝেই প্রায় সাত থেকে আট দশক ধরে বাইনানের মন্টু পাল হাতে চাকা ঘুরিয়ে তৈরি করে চলেছেন বিভিন্ন মাটির পাত্র। তার তৈরি মাটির জিনিস চলে যায় কলকাতার বাজারে! সেখানে চড়া দামে বিক্রি হলেও মন্টুবাবুর খুব একটা বেশি আয় হয় না। তাঁর বানানো মাটির সামগ্রী বাড়ি থেকে বেশ কয়েক হাত ঘুরে কলকাতার বাজারে পোঁছায়।
advertisement
একসময় প্রতিদিন ১০০ দেড়শো মাটির পাত্র তৈরি করতেন। তবে বর্তমানে শরীরের কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, এখন কুড়ি থেকে ২৫ টি পাত্র তৈরি করেন। তাতেই যা আয় হয়। তিনি জানান, '' এই শিল্পের দশা বেশ কয়েক দশক ধরে মন্দা।  ফলে নতুন করে আর কাউকে এই কাজে যুক্ত করার ইচ্ছা হয় না শিল্পীদের।'' যদিও মন্টুবাবু তাঁর সেজ ছেলেকে নিজের হাতেই  কাজ শিখিয়েছেন, তিনিও এই কাজেই যুক্ত।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়েছেন, তবুও দাপিয়ে কাজ করে চলেছেন হাওড়ার মৃৎশিল্পী মন্টু পাল
Next Article
advertisement
Mamata Banerjee: ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বৈধ ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই’: মমতা
‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বৈধ ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই’: মমতা
  • ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

  • বৈধ ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই

  • মতুয়াগড়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

VIEW MORE
advertisement
advertisement