Khudiram Bose: কেশপুর না হবিবপুর! কোথায় জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম! কেনইবা রাখা হয়েছিল তাঁর এমন নাম

Last Updated:

অনেকের মতে কেশপুর, আবার অনেকের মতে হবিবপুরে জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু

+
হবিবপুরে

হবিবপুরে জন্মস্থানের সামনে ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতি

পশ্চিম মেদিনীপুর: সামান্য বয়সে দেশ বাঁচাতে ফাঁসির দড়ি গলায় ঝুলিয়েছিলেন এই কিশোর। যে সময়ে সকলের পড়াশোনা করার কাজ, সেই বয়সেই প্রথমে বই বোমা নিয়ে অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারার পরিকল্পনা, পরে বোমা নিয়ে বিহারের মুজাফফরপুরে গিয়ে কিংসফোর্ডকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এই কিশোর। কিংসফোর্ডের গাড়ি দেখে বোমা ছোঁড়ার পরেও মৃত্যু হয়নি অত্যাচারী শাসক কিংসফোর্ডের। পড়ার বয়সে যে ছেলে দেশকে স্বাধীন করতে হাতে বোমা, বন্দুক তুলে নিয়েছিল, সেই কিশোরের জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত মেদিনীপুরে। যদিও তার জন্মস্থান নিয়ে একাধিক মতপার্থক্য রয়েছে। জেলার দুটি জায়গাকে তার জন্মস্থান হিসেবে মেনেছেন জেলার মানুষ। তবে জানেন অল্প বয়সে আত্মবলিদান দেওয়া শহীদ ক্ষুদিরাম বসু জন্মস্থান কোথায়?
অবিভক্ত মেদিনীপুরে জন্ম শহীদ ক্ষুদিরামের। সর্বকনিষ্ঠ এই বিপ্লবী যিনি দেশের জন্য হাসতে হাসতে আত্ম বলিদান দিয়েছিলেন, সেই ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও গবেষকেরা দাবি করেন ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে। এই হবিবপুর মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত সেখান থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরেই কেশপুরের মোহবনি গ্রামে। বেশ কয়েকজন মনে করেন হবিবপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, বেশ কয়েকজন আবাদ প্রমাণ দিয়েছেন তার জন্ম কেশপুরে। যদিও সেখানে বেশিদিন থাকেনি বলে দাবি পরিবারের।
advertisement
advertisement
মেদিনীপুর জন্ম দিয়েছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই বীর সন্তানকে। ছোট থেকেই দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে নিজের প্রাণ সঁপে দিয়েছিলেন দেশের প্রতি। সামান্য বয়সেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয় ক্ষুদিরামকে। এখনও তাকে স্মরণ করে দেশবাসী। ১৮৮৯ সালে ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজ পরিবারের তহসিলদার ত্রৈলোক্যনাথ বসু এবং লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেয় ক্ষুদিরাম। ক্ষুদিরাম ছিলেন তার মায়ের চতুর্থ সন্তান। দুই সন্তানের অকাল মৃত্যুর পর ক্ষুদিরাম বসুর দীর্ঘজীবন চেয়ে তার দিদি অপরূপা দেবীর কাছে খুদের বিনিময়ে বিক্রি করা হয় ক্ষুদিরামকে। সেই হিসেবেই ক্ষুদিরামের নামকরণ।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে ছোট থেকেই ভারতকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি দিতেই তিনি প্রাণ দিয়েছেন। সেই ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। মনে করা হয়, কেশপুর ব্লকের মোহবনি এলাকায় জন্ম ক্ষুদিরামের। তবে বেশ কিছু গবেষকেরা দাবি করেন, হবিবপুরে কালী মন্দিরের ঠিক বিপরীতেই তার জন্ম হয়। এও দাবি করা হয় যে, এই কালীমন্দিরে মানত করেছিলেন ক্ষুদিরামের মা। তবে হবিবপুরের তার এই জন্মস্থানকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। জন্মভিটাকে সংরক্ষণ করেছে প্রশাসন। রয়েছে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতি। তবে জানা যায় কেশপুরের মোহবনী এলাকায় থাকতেন ক্ষুদিরাম বসুর পূর্বপুরুষ এবং বর্তমানে উত্তর পুরুষেরা।
advertisement
স্বাভাবিকভাবে, ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। বড় হয়ে ওঠা, বিদ্যালয়ে জীবন মেদিনীপুর শহরে। পড়াশোনার কারণে কয়েক বছর তমলুকে থাকলেও মেদিনীপুরেই তার স্বাধীনতা আন্দোলনে হাতে খড়ি। তবে শুধু জেলা বাসি নয় সারা দেশবাসী আজও স্মরণ করে শহীদ ক্ষুদিরামকে, দেশমাতৃকার জন্য তার আত্মবলিদানকে।
রঞ্জন চন্দ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Khudiram Bose: কেশপুর না হবিবপুর! কোথায় জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম! কেনইবা রাখা হয়েছিল তাঁর এমন নাম
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement