Krishnagar Jagadhatri Puja 2021|| জগদ্ধাত্রী বিসর্জনে সাংয়ের দাবিতে মরিয়া, প্রাচীন ঐতিহ্যের সওয়ালে রাজপথে কৃষ্ণনগরবাসী

Last Updated:

Krishnagar people agitating for prestigious immersion procession: ঘট বিসর্জন, প্রতিমা বিসর্জনে সাং প্রথা এবং প্রতিমা রাজবাড়ি প্রদক্ষিনের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পথে নামল শহরের হাজার হাজার বাসিন্দা। সকলেরই দাবি, শহরের ঐতিহ্য নষ্ট করা যাবে না।

জগদ্ধাত্রী বিসর্জনে সাংয়ের দাবিতে মরিয়া শহরবাসী বিক্ষোভে শামিল ।
জগদ্ধাত্রী বিসর্জনে সাংয়ের দাবিতে মরিয়া শহরবাসী বিক্ষোভে শামিল ।
#কৃষ্ণনগর: করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে বহু বছরের ঐতিহ্যে ছেদ পড়েছিল গত বছরেই। অতিমারীর জেরে সর্বসম্মতিক্রমে বন্ধ রাখা হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Krishnagar Jagadhatri Puja 2021) ঘট বিসর্জন ও প্রতিমা বিসর্জনের সময়কার সাং প্রথা। প্রতিমা রাজবাড়ি প্রদক্ষিণও হয়নি। কৃষ্ণনগরবাসী আশায় ছিল এ বারে সব আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। যেভাবে দুর্গাপুজো বা কালীপুজোয় মানুষ আনন্দ করতে পেরেছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না। কিন্তু দিন দুয়েক আগে শহরের পুজো কর্মকর্তাদের ডেকে একপ্রকার জানিয়ে দেওয়া হয় এ বারেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘট বিসর্জন ও প্রতিমা বিসর্জনের সময়কার সাং প্রথা বন্ধ করতে হবে। এমনকি রাজবাড়ি প্রদক্ষিণের জন্য যাবে না কোনো প্রতিমা। তারপর থেকেই শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
ঘট বিসর্জন, প্রতিমা বিসর্জনে সাং প্রথা এবং প্রতিমা রাজবাড়ি প্রদক্ষিনের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পথে নামল শহরের হাজার হাজার বাসিন্দা। সকলেরই দাবি, শহরের ঐতিহ্য নষ্ট করা যাবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাচীন শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ শহরবাসী ভিড় জমাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা জনসমুদ্রের আকার নেয়। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কৃষ্ণনগরের রাজপথ। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই বিক্ষোভ এখনও চলছে। হাতে পোস্টার নিয়ে বিভিন্ন পেশা, বিভিন্ন বয়সের মানুষের  দিন এটাই দাবি ছিল প্রাচীন শহরের প্রাচীন ঐতিহ্য বজায় রাখতে সাহায্য করুক জেলা প্রশাসন।
advertisement
advertisement
এ দিন যারা জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মতে, প্রতিমা (Krishnagar Jagadhatri Puja 2021) রাজবাড়ি নিয়ে যেতে না দিলেও মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা, তাতে ভাটা পড়বে না। বরং যে ভিড় রাজবাড়ি থেকে জলঙ্গীর ঘাট পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে, সেই ভিড় পোস্ট অফিস মোড় থেকে জলঙ্গীর ঘাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে, তাতে পা পর্যন্ত ফেলার জায়গা থাকবে না। কারণ সব প্রতিমা যেহেতু রাজবাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রথা রয়েছে, তাই মানুষ নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় দাঁড়াতে পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে তা হবে না, ফলে ভিড় বাড়বে। অন্যদিকে, সারা রাস্তায় ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এই সময়ে নানা সামগ্রীর দোকান করেন সামান্য লাভের আশায়। কিন্তু প্রতিমা রাজবাড়ি যেতে না দিলে পোস্ট অফিস মোড় থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত যারা দোকান দেন, তাদের ব্যবসা একেবারে মার খাবে। আর সর্বোপরি ঐতিহ্য হারানোর বিষয় তো থেকেই যাচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী (Krishnagar Jagadhatri Puja 2021) পুজোর অন্যতম আকর্ষণ বিসর্জনের শোভাযাত্রা। শহরের বড় বড় পুজোগুলির ঘট বিসর্জন হয় সকালে। সন্ধ্যের পর থেকে শুরু হয়ে যায় সাঙে করে ঠাকুর ভাসানের পর্ব। কৃষ্ণনগর তো বটেই, এমনকি দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা সারারাত জেগে রাজপথে দাঁড়িয়ে বা বসে বিসর্জন দেখেন। ভোর রাতে মেজমা,  ছোটমা ও বুড়িমার দর্শন করে তবে তাঁরা ঘরে ফেরেন। প্রথা অনুযায়ী, সব পাড়ার ঠাকুর বেহারাদের কাঁধে চেপে আগে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সামনে যায়। তারপর শহরের রাজপথ ধরে জলঙ্গি নদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
advertisement
কিন্তু কেন এই রীতি? কথিত আছে, কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের মহিলা সদস্যরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে প্রতিমা দর্শন করার অনুমতি পেতেন না। তাঁরাও যাতে ঠাকুর দেখার সুযোগ পান সেই জন্য রাজ পরিবার শুরু করে এক নিয়ম। ঠিক করা হয়, সমস্ত ঠাকুর আগে রাজবাড়ি প্রদক্ষিণ করবে, তারপর জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন হবে। রাজবাড়ি ঘোরার সময় মহিলা সদস্যরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেই ঠাকুর দেখতেন। আজও সেই নিয়ম আড়ম্বরের সঙ্গে পালন হয়ে আসছে। সেই নিয়মে ছেদ তাই মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন আট থেকে আশি।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Krishnagar Jagadhatri Puja 2021|| জগদ্ধাত্রী বিসর্জনে সাংয়ের দাবিতে মরিয়া, প্রাচীন ঐতিহ্যের সওয়ালে রাজপথে কৃষ্ণনগরবাসী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement