অভাবের সংসার, ঠিকমতো জোটে না খাবার! সেই পরিবারের মেয়েরাই আজ যা করছে, জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে আপনারও

Last Updated:

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পুষ্টিকর খাবার জোটানোর সামর্থ্য নেই পরিবারে, মিড ডে মিলের খাবার খেয়েই কঠোর অনুশীলন চলে স্কুলে, প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাই আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাকে

+
কঠোর

কঠোর পরিশ্রম করে ফুটবল খেলছে হাওড়ার দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা

বড়গাছিয়া, রাকেশ মাইতি: মধ্য সন্তোষপুর হাই স্কুলের এখন অন্য পরিচিতি! সবে কয়েকটা মাস পেরিয়েছে। এরই মধ্যে জেলার মহিলাদের ফুটবল প্রশিক্ষণের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে স্কুল। প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েই অজ পাড়া গাঁয়ের মেয়েরা খেলার জগতে আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাকে। স্কুলের ছাত্রীদের পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়ার বেশকিছু গ্রাম থেকে পরিবারের মেয়েরা দারুণ আগ্রহের সঙ্গে অনুশীলন চালাচ্ছে।
সদ্য সুব্রত কাপে সাফল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মনোবল। যে পরিবারে ঠিকমতো খাবার জোটে না ছেলেমেয়েদের, সেই পরিবারে ফুটবল খেলা যেন বিলাসিতা। তাই শুরুতে সাহসে কুলাতে পারিনি ওদের বাবা-মা। তবে একপ্রকার জোড় করেই শিক্ষক মানিক মাখাল। গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ শুরু। কৃষক ও মজুর পরিবারে ছেলে-মেয়েরা খেলায় যুক্ত হয়। খেলার সরঞ্জাম বল, বুট, জার্সি শিক্ষকদের পকেট থেকেই কিনে দেওয়া হয়েছে সরঞ্জাম। আর পুষ্টিগুণ খাবার যোগানো পরিবারের সাধ্য নেই। স্কুলের মিড ডে মিলই ভরসা ওদের। খেলায় শক্তির প্রয়োজন আর শক্তি যোগাতে পুষ্টি প্রয়োজন। তাই সুযোগ হলে স্কুল থেকে মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত একখানা করে ডিম খেলোয়াড় ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
গ্রামাঞ্চলে এমন বহু প্রতিভা রয়েছে। যারা একটু সুযোগ সুবিধা পেলে নিজেদের মেলে ধরবে। সেই রকমই হাওড়ার মধ্য সন্তোষপুর স্কুলের ফুটবল প্রশিক্ষণে দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছে বেশ কিছু মেয়ে। সন্তোষপুর স্কুলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, ভারতীয় জাতীয় দলের সহকারী কোচ পারমিতা সীট। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই উঠে ফুটবলের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজকে। পারমিতা জানান, সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধা পেলে গ্রাম থেকে আরও বেশি মহিলারা ফুটবলের প্রতি আগ্রহ দেখাবে। হাওলা হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যেভাবে এরা সুব্রত কাপে অংশগ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। এদের খেলা নিজের চোখে না দেখে বিচার করা যায় না। তবে সুব্রত কাপ জয় করেছে, তা থেকে বলা যেতে পারে এরা ভাল খেলছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক মানিক মালিক জানান, গত ডিসেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু। প্রথমে বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হলেও পরবর্তী সময় স্কুলের বাইরে থেকেও অর্থাৎ হাওড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের মহিলা মধ্য সন্তোষপুর হাই স্কুলের ফুটবল শিবিরে যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি ছেলে-মেয়ে অভাবী পরিবারের, তাদের খেলার সরঞ্জাম ও পুষ্টিকর খাবার সমস্ত কিছুই স্কুল ও শিক্ষকদের ভরসায়। তিনি আরও জানান, পুরুষদের থেকে মহিলারা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে ফুটবল খেলায়।
advertisement
এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলের মধ্যের ছোট মাঠেই ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত অনুশীলন চলে। বর্ষায় জলে ডুবে যায় মাঠ। অনুশীলনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যেও সাফল্য এনেদিয়েছে মেয়েরা। এরা আরও একটু সুযোগ সুবিধা পেলে আরও অনেক সাফল্য পেতে পারে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অভাবের সংসার, ঠিকমতো জোটে না খাবার! সেই পরিবারের মেয়েরাই আজ যা করছে, জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে আপনারও
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement