সেই নবাব-নবাবি নেই, আজও আছে ইফতারে খাওয়ানো

File Photo

File Photo

হাতিশালে হাতি ছিল, ঘোড়াশালে ঘোড়া। পেয়াদা, নহব‍ৎখানা, ফুলের বিরাট বাগান। মুর্শিদাবাদের লালবাগে নবাবদের রাজপাটে কিছুই বাদ ছিল না।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #মুর্শিদাবাদ: হাতিশালে হাতি ছিল, ঘোড়াশালে ঘোড়া। পেয়াদা, নহব‍ৎখানা, ফুলের বিরাট বাগান। মুর্শিদাবাদের লালবাগে নবাবদের রাজপাটে কিছুই বাদ ছিল না। এখন অবশ‍্য অনেক কিছুই নেই। আছে শুধু পরম্পরা মেনে ইফতারে খাওয়ানো। ব্রিটিশ আমলে এক নবাব, রোজার উপবাস করতে পারতেন না। তাঁর হয়ে রোজা রাখতেন ৬০ জন। তাঁদেরই ইফতারে খাওয়ানো হত। সেই শুরু। এখনও যা চলছে।

    একসময়ে বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ। সেখানে আর সেই নবাব নেই। সেই নবাবিও নেই। কিন্তু মুর্শিদাবাদে আজও আছে ইফতারি TRADITION। ইফতারে আজও সেখানে খাওয়ানো হয় বিরিয়ানি।

    লালবাগে ইমামবাড়ায় ইফতারে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় শ’তিনেক মানুষকে।

    মেনুতে থাকে তন্দুরি রুটি....ডাল...মাটন বিরিয়ানি...মাংস...ফল...

    প্রতি বছর এই এক মাস ধরে চলা ইফতারি খাওয়াদাওয়ার খরচ এখন যোগায় রাজ্য সরকারের আইন দফতরের অধীনে থাকা ‘মুর্শিদাবাদ এস্টেট’।

    ব্রিটিশ শাসনকালে তখন নবাব ছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ওয়াসিফ আলি মির্জা। তিনি রোজার উপবাস করতে পারতেন না। সেই কারণে ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে নবাবের বদলে ৬০ জনকে রোজা রাখতে হত। সেই ৬০ জনকে ইফতারে বিরিয়ানি ও ফল খাওয়ানোর এলাহি ব‍্যবস্থা করতেন নবাব।

    বিরিয়ানির সেই নবাবি স্বাদ হয়ত নেই। কিন্তু, ইফতারে খাওয়ানোর সেই নবাবি-ঘরানা আজও আছে।

    ১৯৮৫ সাল থেকে রাজ‍্য সরকারের ‘মুর্শিদাবাদ এস্টেট’ এই ইফতারি খাওয়ানোর দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয়।

    First published:

    Tags: Iftar Party, Murshidabad