Knowledge Story: সারা দেশে রয়েছে মাত্র কয়েকজন! জানেন এই বিলুপ্তপ্রায় জাতির পরিচয়?

Last Updated:

Know about the abolished Caste of India Shiyalgiri: আগামীতে হারিয়ে যেতে বসা এই শিয়ালগিরি সম্প্রদায় গবেষকদের একটি গবেষণারসদ এবং এক জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ মানুষের। পরিচিতি লাভ শিয়ালগিরির।

+
শিয়ালগিরি

শিয়ালগিরি জাতি

পশ্চিম মেদিনীপুর: তাদের ভাষা ছিল ভিন্ন ধরনের। না হিন্দি আর না বাংলা। তবে কালের নিয়মে তারা ভিন্ন জাতিগত পরিচয় নিয়ে দিন যাপন করতেন। এই সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাতেগোনা কয়েকজনের বসবাস। এককালে পরিচয়হীন তারাও একটি জাতির মানুষ। এমনটাই সমীক্ষায় তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা। শুধু তাই নয়, নানান সমীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের জাতির অস্তিত্বের কথা বলেছেন স্বয়ং ব্রিটিশ শাসকও। তাদের ভাষা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা ছিল। বেশ কয়েক পুরুষ আগে তাদের পেশা ছিল শিকার। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে এককালে তাদের ভালো চোখে দেখতেন না সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা। তাই তারা পরবর্তীতে নিজেদের বদলানোর চেষ্টা করে। ধীরে ধীরে কালের উন্নতিতে বদলে যায় তারাও। শিকার ছেড়ে মূল স্রোতে এসে এখন দিব্যি সাধারণ দিনযাপন করে তারা।
সেভাবে বদলে যায় তাদের জাতির আসল পরিচয়। উচ্চশ্রেণীর সংস্কৃতিকে ধীরে ধীরে নিজেদের আয়ত্ত করতে থাকেন। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তিত হয়েছে অন্যান্য জাতিতে। তবে এই সম্প্রদায়ের ইতিহাস সুদীর্ঘ। এখনও সামান্য কয়েকজনের বসবাস বাংলা ওড়িশা সীমানায়। তাদের এই জাতিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন স্থানীয় লোকসংস্কৃতি গবেষক সন্তু জানা। বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় হাতেগোনা কয়েকটি মৌজায় বসবাস শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষজনের। বেশ কয়েক পুরুষ আগে এদের ভাষা ছিল বেশ অদ্ভুত। কিছুটা গুজরাটি অপভ্রংশ, কিছুটা আবার হিন্দির। তবে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিয়ালগিরি জাতির অবলুপ্তি ঘটতে থাকে। ক্রমশই তারা শবর জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি জানায়, বেশ কয়েকজন শবর সম্প্রদায়ের সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। এরপর অন্যান্যরা দাবি জানানোয় বিশেষ পর্যবেক্ষণ টিম তারা পর্যবেক্ষণ করে জানায় আদতে এরা শবর সম্প্রদায়ের নয়।
advertisement
তবে এরা কারা? কী বা পরিচয় এঁদের? এরপর নানা তর্জমা শুরু হয়। তাদের প্রাচীন পুঁথি নথি ঘেঁটে তাদের পরিচয় দেন সন্তু জানা। তারা আদতে শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ভুক্ত। যাদের পরিচয় আছে সেই ব্রিটিশ সময় থেকে। দাঁতনের শিক্ষক তথা গবেষক সন্তু জানা প্রায় বছর সাতেকের প্রচেষ্টায় উদ্ধার করেন হারিয়ে যেতে বসা শিয়ালগিরি সম্প্রদায়কে। শিয়ালগিরি সম্পর্কে বিশেষ গবেষণামূলক বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটায় অবলুপ্ত এই জাতির পরিচয়। যারা জনজাতিভুক্ত নয়, একটি জাতির মানুষ। বেশ কয়েক পুরুষ আগেই পিছনে গেলে জানা যাবে, এই সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষদের পেশা ছিল শিকার করা।
advertisement
advertisement
যারা পরিচিত ছিলেন শোয়ালগিরি নামে। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু প্রামাণ্য তথ্য ও শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষজনের ভাষা সংস্কৃতি এবং তাদের ব্যবহার্য নানান জিনিসের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার সোলপাট্টা, নিমপুর সহ একাধিক মৌজায় রয়েছেন বহু শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষ। নিজেদের পরিচয় জানার পর বর্তমান প্রজন্ম শবর নয়, শিয়ালগিরি জাতি হিসেবে পরিচিতি পেতে চান। তাদের প্রামাণ্য বিভিন্ন নথি এবং দলিল অনুযায়ী তাদের জাতি হিসেবেই তারা সরকারি নানান সুযোগ-সুবিধা পেতে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই এই জাতিগত শংসাপত্র পেতে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছেন তারা।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Knowledge Story: সারা দেশে রয়েছে মাত্র কয়েকজন! জানেন এই বিলুপ্তপ্রায় জাতির পরিচয়?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement