দিব্যি ঘুমাচ্ছিল 'ওঁরা', আচমকা ধেয়ে এল গঙ্গা! তলিয়ে গেল একের পর এক বাড়ি, দেখুন কী করুণ পরিস্থিতি

Last Updated:

মুর্শিদাবাদ জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল গঙ্গা ভাঙন। সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কাতে তীব্র নদীর জলস্তর বৃদ্ধি হচ্ছে বর্তমানে। ঝাড়খণ্ড ও বিহারে লাগাতার বর্ষণ। বর্ষণের কারণেই গঙ্গা নদী ফুঁসছে।

+
গঙ্গা

গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঘর

মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী: এ কী কাণ্ড ঘটল মুর্শিদাবাদে। ঝুলছে একের পর এক ঘর, আসবাবপত্র নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। অন্যান্য দিনের মতোই ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে। কিন্তু জানতেন না এই ঘটনা ঘটবে। আর ঘুমন্ত অবস্থায় মুহুর্তেই বাঁচল আটটি পরিবার। চোখের নিমেষেই এই ঘটনা ঘটবে তাও বুঝে উঠতে পারেননি পরিবারগুলো। মুর্শিদাবাদ জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল গঙ্গা ভাঙন। সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কাতে তীব্র নদীর জলস্তর বৃদ্ধি হচ্ছে বর্তমানে। ঝাড়খণ্ড ও বিহারে লাগাতার বর্ষণ। বর্ষণের কারণেই গঙ্গা নদী ফুঁসছে।
জানা গিয়েছে, একের পর এক বাড়ি তলিয়ে গেল গঙ্গার জলে। গঙ্গা ভাঙনের অভিশাপে আবারও ভুক্তভোগী মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচন্ড। লোকজন ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শুরু হয় ভাঙন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে শুরু হয় ভাঙন। তলিয়ে গিয়েছে দুটি বাড়ি। আরও একাধিক বাড়ি গঙ্গা পাড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। আতঙ্ক আর হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে উত্তর চাচণ্ড জুড়ে। ঘুমন্ত এলাকা জেগে উঠল নদী ভাঙনের ভয়াবহতায়।
advertisement
advertisement
শুধু বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলীন বড় বড় গাছ। হঠাৎ করে ভাঙনের ফলে ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গবাদি পশু। দুটি বাড়ি তলিয়ে যেতেই এখন আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। ভাঙনের টের পেয়ে কোনওরকমে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর ছেড়ে প্রাণে বেঁচেছে ১০টি পরিবার। নদী পাড় সংলগ্ন কালী মন্দিরেও ধরেছে ফাটল। ভাঙনের আতঙ্কে আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভাঙন এলাকায় পরিদর্শনে যান মুর্শিদাবাদের সামেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ। এলাকা ঘুরে দেখেন বিধায়ক আমিরুল ইসলামও। জরুরী ভিত্তিতে বাসিন্দাদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছিল। ভাঙনের কোনও লক্ষণ দেখা দেয় নি। কিন্তু রাত থেকে ভাঙন শুরু হয়। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের কাজের দাবি জানানো হয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দিব্যি ঘুমাচ্ছিল 'ওঁরা', আচমকা ধেয়ে এল গঙ্গা! তলিয়ে গেল একের পর এক বাড়ি, দেখুন কী করুণ পরিস্থিতি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement