#কলকাতা: লাগাতার গরমে নাভিশ্বাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর শনিবার বিকেল গড়াতেই শুরু হয় কালবৈশাখী। প্রবল গরমে ঝড়-বৃষ্টির জেরে স্বস্তি নামল বটে। কিন্তু, খানিকক্ষণের কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।
দুপুরের পরই স্বস্তির বৃষ্টি নামল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূমের বিভিন্ন অংশে কালবৈশাখীর প্রভাবে প্রায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যায়। প্রবল ঝড়ের পরই শুরু হয় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ৷ কিছুক্ষণের কালবৈশাখীতে তাণ্ডব চলল দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বজ্রপাতে ও গাছ পড়ে চার জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন, বজ্রাঘাতে ও গাছ পড়ে চার জেলায় কয়েকজন নিহত হন। আসানসোলের সালানপুর ও জামুড়িয়ায় বজ্রাঘাতে এক কিশোর-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়।পুরুলিয়ায় ঝড়ে গাছ ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত ৪ ৷ বর্ধমানের মঙ্গলকোট, গলসি ও আউশগ্রামেও বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুগলির পাণ্ডুয়ায় বজ্রাঘাতে ও গাছ পড়ে দু’জন মারা যান। পুরুলিয়াতেও গাছ পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়। গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলাতেও। ঝড়ের দাপটে আম ও জমির ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে কুলপির ২ নং ব্লকের ঢোলা অঞ্চলে ৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ৷ আসানসোল পৃথক দুটি জায়গায় বজ্রাপাতে মৃত হল তিনজনের।মৃতদের মধ্যে দুই কিশোর রয়েছে। শনিবার আসানসোল জুড়ে বজ্রাপাত সহ ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়।এদিন জামুরিয়ার হিজলগোড়ায় বাজ পড়ে শেক আলাউদ্দিন নামে কিশোরের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সালানপুরে বাজ পড়ে শঙ্কর চৌধুরি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সালাউদ্দিন আনসারি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সালানপুরেই একজন আহত হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় জল জমে গিয়েছে ৷ ঝড়ের কারণে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার ৷ বহু এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন ৷