বনদফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, দিনের পর দিন হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা

Last Updated:
#মেদিনীপুর: বনদফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। আর তার জেরেই এক জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন হাতি থেকে গিয়ে ধান জমিতে দফারফা গজরাজের দলের।  প্রতি দিন সন্ধ্যে হলেই হাতির পাল জঙ্গল থেকে নেমে পড়ছে পাকা ধান জমিতে। ধান খেয়ে এবং ধান জমিতে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি করছে চাষের জমি। আতংকে এলাকার চাষীরা। হাতির পাল সরিয়ে নিয়ে যেতে বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে সমঝোতার অভাবের কারনেই হাতির পাল এক জায়গায় দীর্ঘদিন আটকে থেকে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি করছে মাঠের ধানের এমনি অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জ এলাকায় কাটাবেসার জঙ্গলে গত ২২ তারিখ প্রায় ৪২ টি হাতির দল ঢুকে পড়ে।  জানা গেছে হাতির দলটি সোনামুখী দিক থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ফেরার পথে ছিল কিন্তু সেদিকে না গিয়ে হাতির দলটি পুনরায় সোনামুখী দিক থেকে বেলিয়াতোড় রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে। ২২তারিখ রাতে হাতির দল কাটাবেসা জঙ্গলে ঢুকে একাধিক গ্রামের ধান জমিতে তান্ডব চালায়। পরে হাতির দলটি বড়জোড়া জঙ্গলের দিকে গিয়ে ফের ২৬তারিখ কাটাবেসা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সেখানেই প্রায় চার দিন ধরে ঘাটি গেড়ে রয়েছে হাতির দলটি। বিকেল থেকে জঙ্গল  বেরিয়ে হাতির দল বিনা বাধায় ঢুকে পড়ছে গ্রামের ধান জমিতে। ধান জমিতে বেপোরোয়া তান্ডব চালিয়ে ফের দলটি গা ঢাকা দিচ্ছে ওই জঙ্গলে।   এই ভাবেই বেশ কয়েকদিন ধরে কাটাবেসা জঙ্গল লাগোয়া শ্রীকৃষ্ণপুর, নিত্যানন্দপুর, শাউলিয়া, মথুরাডাঙ্গা সহ একাধিক গ্রামের ধান জমিতে পাকা ধানে মই দিচ্ছে গজরাজ বাহিনী।
advertisement
স্থানীয় মানুষের দাবি, এই কদিনে প্রায় ১০ একর ধান জমির দফারফা করে দিয়েছে হাতির দল। বনদফতরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামের চাষীরা। এক জঙ্গলে হাতি দীর্ঘদিন রেখে দিয়ে গাঝাড়া মনোভাব বনদফতরের অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রাম বাসীদের অভিযোগ এক রেঞ্জের সাথে অন্য রেঞ্জের কোন সমন্বয় নেই।  গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে রেঞ্জ এলাকায় হাতি ঢুকছে সেই রেঞ্জ থেকে অন্য রেঞ্জ এলাকায় হাতি সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে বনদফতরের কর্মীরায়। অর্থাত হাতির দায়িত্ব নিতে কোন রেঞ্জ রাজি না হওয়ার কারনে এমন ক্ষতি হচ্ছে। যে রেঞ্জ এলাকায় হাতি ঢুকছে সেই রেঞ্জ থেকে অন্য রেঞ্জ এলাকায় হাতি সরিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না বনদফতরের কর্মি ও আধিকারিকদের। এর ফলে যে রেঞ্জ এলাকায় হাতি ঢুকছে সেই রেঞ্জ পড়ছে সমস্যায়।
advertisement
advertisement
দীর্ঘদিন  হাতি জঙ্গলে হাতি রয়ে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে বনদফতরের বিরুদ্ধে এমন ঘোরতর অভিযোগ সামনে আনলেন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামের মানুষ।  গ্রামের মানুষ ক্ষতিপুরন এবং হাতি সরানোর দাবি জানাচ্ছেন।  হাতি সরিয়ে নিয়ে যেতে বনদফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে স্বীকার করেছেন বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসার। তিনি বলেন,  হাতির দায়িত্ব কেউ নিতে রাজি হচ্ছে না। হাতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব রেঞ্জ এবং গ্রামের মানুষের মধ্যে ইউনিটির প্রয়োজন বলেই দাবি ওই আধিকারিকের।  অন্যদিকে হাতি ড্রাইভে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা। তাদের কথা ভেবে হাতি নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়ার প্রয়োজন বলেই দাবি ওই রেঞ্জ আধিকারিকের।
advertisement
Mritunjay Das
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বনদফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, দিনের পর দিন হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement