হাতের কাজেই বাজিমাত! মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন মহিলারা, পথ দেখিয়েছে 'এই' শিল্প

Last Updated:

East Medinipur News: এক একজন শিল্পী কাজ করে মাসে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন

+
থিম

থিম প্যান্ডেলে আলপনা দেওয়ার কাজ চলছে

নন্দকুমার, সৈকত শীঃ দুর্গাপুজো মানেই থিমের প্যান্ডেল বা মণ্ডপ। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি অন্যান্য পুজো ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বর্তমানে থিমের প্যান্ডেলের চাহিদা তুঙ্গে। ফলে সারা বছরই এখন থিমের মণ্ডপ তৈরির অর্ডার আসে। এই মণ্ডপশিল্পই পথ দেখিয়েছে গ্রামের মহিলাদের। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন স্বনির্ভর হওয়ার সঠিক দিশা।
মণ্ডপ তৈরির কাজ বছরের একটা সময় হয় না। সারা বছর ধরে মণ্ডপের ছোট ছোট অংশ বানানো হয়। ফলে নন্দকুমার ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের গৃহবধূ সহ অন্যান্য মহিলারা এই থিমের মণ্ডপশিল্পের মাধ্যমে খুঁজে নিয়েছে রোজগারের পথ।
আরও পড়ুনঃ একদিন পরেই শুরু পরীক্ষা, এখনও গাড়িতে ‘বন্দি’ উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! কী বলছে প্রশাসন?
দেবী দুর্গার অংশ বলা হয় নারীদের। এই নারীরা দেবী দুর্গার মণ্ডপসজ্জার কাজ করছেন। কেউ দিচ্ছেন আলপনা, কেউ আবার বানাচ্ছেন ছোট ছোট মডেল। কেউ কেউ সেই মডেল রঙ করতে ব্যস্ত। মূলত খড়, পাট, খবরের কাগজ, কাপড় সহ বিভিন্ন ধরণের জিনিসপত্র দিয়ে মণ্ডপের মডেল তৈরি হচ্ছে। ঘর-সংসার সামলে এই মডেল তৈরি করে আর্থিক নিরাপত্তা পাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। নন্দকুমারের দক্ষিণ ধলাহরা, কোলসর, ব্যবর্ত্তা সহ বিভিন্ন গ্রামের মহিলারা এই ধরণের কাজ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন।
advertisement
advertisement
নন্দকুমারের বিভিন্ন জায়গায় থিম মণ্ডপ শিল্পের ওয়ার্কশপ রয়েছে। সেই ওয়ার্কশপে এলাকার ২৫-৩০ জন মহিলা কাজ করেন। থিম প্যান্ডেলের জন্য শোলার বিভিন্ন ধরণের মূর্তি, ফুল, পাখি সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় মডেল তৈরি হয়। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁদের তৈরি থিমের মণ্ডপে সেজে উঠছে। মণ্ডপ শিল্পের কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিজেপির ধর্নাস্থলে উত্তেজনা! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পদ্ম সাংসদের
থিম প্যান্ডেলের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা তনুশ্রী সিংহ জানান, বাড়িতে আলপনা দিতেন। এখন সেই আলপনা মণ্ডপ শিল্পের জন্য দিতে হচ্ছে। এর জন্য পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। ঘর-সংসার সামলে থিম প্যান্ডেলের কাজ করে ভালই রোজগার হচ্ছে। সারা বছর ধরে কাজ থাকলেও পুজোর আগে দু-তিন মাস দম ফেলার ফুরসত থাকে না। তনুশ্রীর পাশাপাশি ঋতুপর্ণা, নীলিমা ও সুপর্ণারা মতো গৃহবধূরাও মণ্ডপ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শোলা ও প্লাস্টিক জাতীয় পেপার কেটে সুন্দর সুন্দর মুর্তি, পশু-পাখি, ফুল, আলপনার মধ্য দিয়ে থিমের মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়। এক একজন শিল্পী কাজ করে মাসে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। মণ্ডপশিল্পে কাজের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। আগে খারাপ সময় কাটলেও মণ্ডপশিল্পে কাজ করে বর্তমানে সুদিন ফিরেছে। প্রচুর কাজের অর্ডার, তাই একটুও সময় নষ্ট না করে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। শুধু দুর্গাপুজো নয়, অন্যান্য পুজোর পাশাপাশি বিয়ে সহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে থিমের কাজ সমাদৃত। ফলে বছরে ৩৬৫ দিনই কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হাতের কাজেই বাজিমাত! মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন মহিলারা, পথ দেখিয়েছে 'এই' শিল্প
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement