পুজোর আগে পেটে টান! বৃষ্টিতে ভিজছে মৃৎশিল্পীদের সারা বছরের রোজগার

Last Updated:

বৃষ্টিতে থমকে কুমোরপাড়া! পুজোর আগে অনিশ্চয়তায় মৃৎশিল্পীরা।

+
ব্যস্ত

ব্যস্ত মৃৎশিল্পী

এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতিঃ আর মাত্র কয়েক দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর। এই সময় মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। প্রদীপ, ধূপদানি, ঘট, হাঁড়ি, ধুনুচি-সব কিছুরই প্রয়োজন হয় পূজার কাজে। তাই সারা বছর যে মৃৎশিল্পীদের কাজ প্রায় থাকেই না, এই সময় তাঁদের সারা বছরের রোজগার হয়। কিন্তু এ বছর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকার কুমোরপাড়ার শিল্পীরা পড়েছেন এক নতুন সমস্যায়। ভাল বায়না পাওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টির কারণে মাটির জিনিসপত্র শুকোতে না পেরে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্যে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে গাড়ি! সাংঘাতিক পরিণতি অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারের
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীদের কাছে দুর্গাপূজা মানেই হাতে অতিরিক্ত কাজ। সারা বছর তেমন চাহিদা না থাকলেও এই সময়টা তাঁদের হাতে কাজ উপচে পড়ে। অন্যান্য বছর এই সময় নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, বরং বরাত ভালই এসেছে। কিন্তু প্রকৃতি তাঁদের এই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে মাটির তৈরি সামগ্রীগুলো ঠিকমতো শুকোতে পারছেন না শিল্পীরা। কাঁচা জিনিসপত্র রোদে না শুকালে সেগুলো আগুনে পোড়ানো সম্ভব নয়। আর সময় মতো সামগ্রীগুলো তৈরি না হলে উৎসবের আগে ডেলিভারি দেওয়াও সম্ভব হবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যায় দিঘার আকাশে রহস্যময় ‘আলো’! আঁতকে উঠলেন পর্যটকেরা, উপকূল শহরে এ কোন বিপদের সংকেত? সামনে এল কারণ
ভাল বরাত পেয়েও যদি সময় মতো কাজ শেষ না করতে পারেন, তাহলে একদিকে যেমন ক্রেতাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে না, তেমনই সারা বছরের রোজগারও হাতছাড়া হবে। মাটির জিনিসপত্রের প্রধান আকর্ষণই হল তার প্রাকৃতিক রূপ। তাছাড়া, পুজোয় এই জিনিসগুলোর ব্যবহার অপরিহার্য। তাই শিল্পীরা চাইছেন দ্রুত আবহাওয়ার উন্নতি হোক, যাতে তাঁরা তাঁদের পরিশ্রমের ফল ঘরে তুলতে পারেন।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃষ্টির কারণে মাটির জিনিসপত্র শুকোতে না পাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকার মৃৎশিল্পীরা। পুজোর ভাল বরাত পেলেও তাঁরা দুশ্চিন্তায় আছেন, কারণ সময়মতো কাজ শেষ না হলে সারা বছরের রোজগার হারাতে হবে। এখন তাঁদের একমাত্র ভরসা রোদ, যাতে তাঁরা তাঁদের হাতে গড়া শিল্পকর্মগুলো তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাে দিতে পারেন।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুজোর আগে পেটে টান! বৃষ্টিতে ভিজছে মৃৎশিল্পীদের সারা বছরের রোজগার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement