Kali Puja 2025: ভোগে দেওয়া হয় শোল মাছ পোড়া! নিবেদন করা হয় শিয়ালকে! প্রাচীন দুর্লভা কালীমন্দিরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়

Last Updated:

Kali Puja 2025:আগে ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই এলাকা, মা কালীর দর্শন পাওয়া ছিল অত্যন্ত দুর্লভ।তাই এই দেবীর নাম 'দুর্লভা কালী'।

+
ঠাকুরের

ঠাকুরের ছবি

পূর্ব বর্ধমান,লাকুড্ড,সায়নী সরকার: প্রতি রাতে শিয়ালকে ভোগ নিবেদন করা হয় এই মন্দিরে। দেবীকে ভোগে দেওয়া হয় শোলমাছ পোড়া।মন্দির ঘিরে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী।কথিত আছে এই স্থানেই বর্ধমানের মহারাজাকে অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিয়ে ছিলেন সন্ন্যাসী গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী।
পূর্ব বর্ধমানের লাকুড্ডি এলাকায় অবস্থিত দুর্লভা কালীবাড়ি। আগে ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই এলাকা, মা কালীর দর্শন পাওয়া ছিল অত্যন্ত দুর্লভ।তাই এই দেবীর নাম ‘দুর্লভা কালী’।গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর পৈতের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছান জঙ্গল ঘেরা এই লাকুড্ডি এলাকায়। সেখানেই শুরু করেন মা কালী সাধনা।সেই সময় এই এলাকার দিয়ে প্রবাহিত হত বেহুলা নদী, পাশেই ছিল একটি পুকুরও।দেবী গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারীকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী তাকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী তিনি দেবীকে উদ্ধার করেন এবং এনে প্রথমে তালপাতার ছাউনি করে আরাধনা শুরু করেন।
advertisement
বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাব এক দিন জঙ্গলে দেখতে পান, তালপাতার ছাউনিতে এক সন্ন্যাসী বসে সাধনা করছেন। মহারাজা সন্ন্যাসীকে জিজ্ঞাসা করেন আজ কোন তিথি? সন্ন্যাসী উত্তরে বলেন আজ পূর্ণিমা কিন্তু সেই দিন ছিল অমাবস্যার রাত। কথিত আছে, অমাবস্যার রাতেই মহারাজ বিজয়চাঁদকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিয়েছিলেন সন্ন্যাসী গোকুলানন্দ।তাঁর এই অলৌকিক ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাব তাঁকে মন্দির তৈরির জন্য জমি দান করেন। লাকুড্ডি এলাকায় গড়ে ওঠে মন্দির। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় দেবী দুর্লভার মূর্তি। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসনও, সেই আসনে বসেই সাধনা করতেন সন্ন্যাসীর গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী। তারপর এই আসনে আর কেউ বসেননি। মন্দিরের পিছনেই রয়েছে সন্ন্যাসী গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারীর সমাধি। মূল মন্দিরের পাশে তৈরি করা হয় বেশ কয়েকটি শিব মন্দিরও। আজও সেই পুরনো নিয়ম মেনেই পুজো হয় মন্দিরে এবং প্রতি রাতে শিয়ালকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : আগামিকাল ভূত চতুর্দশী! ‘১৪’ শাকের নাম কী কী? কেন খাবেন নরক চতুর্দশী তিথিতে! জানুন
দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষত্ব। বর্তমানে মূর্তিটি শ্বেত পাথরের তৈরি। এর আগে মূর্তিটি ছিল অষ্টধাতুর, তার আগে ছিল বেলকাঠের একটি মূর্তি।দেবী এখানে তন্ত্র মতে পূজিত হন। বিশেষ বিশেষ পুজোর সময় দেবীর ভোগে দেওয়া হয় শোলমাছ পোড়া । ভোগ প্রথমে দেওয়া হয় সন্ন্যাসী গোকুলনন্দের সমাধিতে, তার পর পঞ্চমুণ্ডি আসনে এবং তারপরে ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় সোমবার দেওয়া হয় পায়েস ভোগ। মঙ্গলবার, শনিবার ও রবিবার দেওয়া হয় খিচুরি ভোগ।বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রবার আলু ভাতে, ঘি, ভাত দেওয়া হয় ভোগ হিসেবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: ভোগে দেওয়া হয় শোল মাছ পোড়া! নিবেদন করা হয় শিয়ালকে! প্রাচীন দুর্লভা কালীমন্দিরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
  • উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল ?

  • রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement