কুমোর পাড়াকে বাঁচাতে বিরাট পরিকল্পনা! যেমন-তেমন নয়, খরচ হচ্ছে ২২ লক্ষ টাকা, ব্যাপারটা কী জানুন

Last Updated:

মোবাইলের যুগে ছেলেমেয়েদের কাছে কুমোর পাড়া যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে সেই কুমোর পাড়ার ব্যস্ততার জীবন কাহিনী এবার এখানে আসলে দেখতে পাবেন। 

+
কুমোরপাড়ার

কুমোরপাড়ার ভাবনায় সেজে উঠছে মণ্ডপ 

আসানসোল, রিন্টু পাঁজা: ছোট বেলায় কুমোর পাড়া নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা কবিতা পড়েছিলাম! মনে পড়ে সেই কবিতা? “কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি, গাড়ি চালায় বংশী বদন সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন” এবার নিশ্চয় মনে পড়ছে আপনার কুমোর পাড়ার কুমোরদের ব্যস্ততা কথা। এখন আপনি হয়ত ভাবছেন হঠাৎ কেনও কুমোর পাড়ার কথা বলছি। বর্তমান সময়ে মোবাইলের যুগে ছেলেমেয়েদের কাছে কুমোর পাড়া যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে সেই কুমোর পাড়ার ব্যস্ততার জীবন কাহিনী এবার এখানে আসলে দেখতে পাবেন।
বর্তমান সময়ে প্রায় মাটির ঐতিহ্যর জিনিস যেন আসতে আসতে হারিয়ে যেতে বসেছে। কুমোর পাড়াতে গেলে দেখা যায় না এখন সেই ব্যস্ততার ছবি। একটা সময় কুমোর পাড়াতে গেলে দেখা যেত মাটির বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে রৌদ্রে শুকাতে দেওয়া কাজ, তার পরে আগুনে পোড়ান। সে এক অন্যরকম ব্যস্ততার ছবি লক্ষ্য করা যেত। সেই ঐতিহ্য বর্তমান মোবাইলের সময়ে ছেলেমেয়েরা দেখতে পাচ্ছে না এই ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রাখতে এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই পুজো কমিটি। জানলে আপনাকে ভাবাবে।
advertisement
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের কল্যাণপুর আদি দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক তাপস সেনগুপ্ত বলেন, “বাঁকুড়া থেকে শিল্পী নিয়ে এসে আমরা এই মণ্ডপে কাজ শুরু করেছি। দুই মাস আগে থেকেই এই মণ্ডপের কাজ শুরু হয়েছে। চন্দননগরের লাইটের গেট হবে। চতুর্থীতে পুজো উদ্বোধন হওয়ার কথা আছে। এ বছরে পুজোর বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। পুজোর পাঁচটা দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল মহকুমার কল্যাণপুর আদি দুর্গাপুজো ৪৫ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। এবারে তাদের ভাবনা ‘মৃত্তিকা’ অর্থাৎ মাটি। তারা কুমোর পাড়ার সেই কুমোরদের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছে এবারের পুজো মণ্ডপে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই মণ্ডপে গেলে আপনি দেখতে পাবেন পুরনো সময়ে কুমোররা নিজের হাতে তৈরি করছে মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র, কুমোরদের স্ত্রীরা কীভাবে মাটির তৈরি জিনিস পত্র রৌদ্রে শুকাছে, বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। পাশাপাশি দেখতে পাবেন তাদের বাড়িঘর, জীবন কাহিনী। মণ্ডপটি সম্পূর্ণ খড়, মাটি, টালি, প্লাই ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই এবারের পুজোতে কুমোর পাড়ার সেই পুরনো ঐতিহ্যর ছোঁয়া পেতে গেলে আসতে হবে আপনাকে এই পুজো মণ্ডপে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কুমোর পাড়াকে বাঁচাতে বিরাট পরিকল্পনা! যেমন-তেমন নয়, খরচ হচ্ছে ২২ লক্ষ টাকা, ব্যাপারটা কী জানুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement