আড়ম্বরহীনভাবে হয় পুজো! সাড়ে তিন ফুটের প্রাচীন পিতলের দুর্গা, 'তিন পুতুলের' আরাধনায় এখনও টিকে ঐতিহ্য
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Mainak Debnath
Last Updated:
Durga Puja 2025 : জানেন না অনেকেই। তবুও দীর্ঘদিন ধরে পুজো হয়ে আসছে দেবীর। স্থানীয়দের কাছে যা তিন পুতুলের মূর্তি। রয়েছে চমকে দেওয়া ইতিহাস।
শান্তিপুর, নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: নদিয়া জেলার শান্তিপুর শহরের মতিগঞ্জ মোড়ে অবস্থিত জয়দুর্গা নামক পিতলের দুর্গা মূর্তিটি। এত প্রাচীন হওয়া সত্বেও একেবারেই আড়ম্বরহীন ভাবে পূজিত হয়ে আসছেন সারা বছর। শান্তিপুর শহরের প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ এবিষয়ে কিছুটা অবগত থাকলেও, বর্তমানে নবীন প্রজন্ম একেবারেই অবগত নন এই ব্যাপারে। দেবীর মূর্তিটি সম্পূর্ণ পিতলের ও এক ছাঁচে ঢালাই করা এটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে তিন ফুট থেকে চার ফুটের কাছাকাছি । এখানে মা মহিষমর্দিনী। দেবীর পুত্র কন্যারা অনুপস্থিত। যাকে এক কথায় বলা যেতে পারে তিন পুতুলের মূর্তি। যেটা শান্তিপুর শহরে দুর্গাপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । প্রাচীন জনপদ নদিয়ার শান্তিপুর শহরেই একমাত্র তিন পুতুলের মাতৃ আরাধনা করা হয়। যেটা শান্তিপুর শহরের বাইরে অন্য কোথাও প্রতক্ষ্য করা যায় না।
শান্তিপুরের প্রাচীন ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর অ্যামেচার ক্লাব নিকটস্থ শান্তিপুর কল্ল্য বাড়ি বর্তমানে যেটা উকিল বাড়ি নামে পরিচিত, সেই বাড়ির কর্ণধার শ্যমাচরণ প্রামাণিক এই মাতৃ মূর্তিটি তৎকালীন মতিগঞ্জ মোড় নিকটস্থ গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে গঙ্গা থেকে তুলে নিয়ে এসে মতি গঞ্জ মোড়ে ঠাকুর মন্দিরের বেদীতে স্থাপন করেন। তবে তারও আগে বাড়িতে ঠাকুর দালানে পুজো হত দুর্গা। আর সেই কারণেই পিতলের দুর্গা পুজোর ব্যবস্থা করেন বাড়ির কিছুটা দূরে মতিগঞ্জ মোড়ে। তবে সেখানে সারা বছরই পুজো হয় দুর্গা দেবীর।
advertisement
আরও পড়ুন : থিমে টেক্কা দেওয়ার যুগে ব্যতিক্রম এই পুজো! এখনও মিলেমিশে এখানে হয় উৎসব! ২০ গ্রামের একটাই পুজো, দেখে আসুন
advertisement
অন্য এক সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার বীরনগরের মিত্র মুস্তৌফিবাড়ি পূজিত হতেন এই মহিষমর্দিনী মাতা। সেখানেও মহাসমারোহে হত পুজোপাঠ এবং শান্তিপুর শহর সহ আরও অন্যান্য অঞ্চলের অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষেরা সেখানে উপস্থিত থাকতেন। এছাড়াও আরও জানা যায় যে, সেবা চালাতে অক্ষম দেবীর সেবায়েতগণ নৌকা করে মূর্তিটি শান্তিপুর শহরের গঙ্গায় এসে ভাসিয়ে দেন। যেটা পরবর্তীকালে শ্যামাচরণ বাবু পেয়ে ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : মায়ের আরাধনায় ‘মাতৃবন্দনা’! চোখে আঙুল দিয়ে কঠিন বাস্তব দেখাচ্ছে এই থিম, না দেখলে পুজোয় ঘোরা ব্যর্থ
প্রত্যেকদিনই মায়ের মন্দিরে পুজো করা। দুর্গাপুজোতেও একেবারেই আড়ম্বরহীন ভাবে পূজিত হন মা। তবে তার অপর আরেকটি কারণ হল এই পুজোটি যাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ শান্তিপুর উকিল বাড়ি, তাদের বাড়িও এই মূর্তি উদ্ধারের আগে থেকেই অর্থাৎ ৩০০ বছরের অধিক সময় ধরেই দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। আর ঠিক কারণেই দুটি দুর্গা পুজো একসঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এমনটাই জানাচ্ছেন তাদের বাড়ির কর্মকর্তারা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মহাষ্টমীর দিন এই অঞ্জলী দেওয়ার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট জনসমাগম হয়। মাতৃ মূর্তির সঙ্গেই এই মন্দিরে পূজিত হন দেবাদিদেব এবং নারায়ণ শিলা। তবে প্রকৃত ঈশ্বর বাস নিরালায় , নিভৃতে , নির্জনে এবং তার পুজোও করা হয় অত্যন্ত আড়ম্বরহীন ভাবে। সম্প্রতি মন্দিরের সামনে একটি স্পেশাল বিজ্ঞাপনে ঢাকা পড়ছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ইতিহাস। এ ব্যাপারে উদাসীন প্রশাসন।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Nadia,West Bengal
First Published :
September 30, 2025 2:24 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আড়ম্বরহীনভাবে হয় পুজো! সাড়ে তিন ফুটের প্রাচীন পিতলের দুর্গা, 'তিন পুতুলের' আরাধনায় এখনও টিকে ঐতিহ্য