হাঁসের ডিমের ভোগ! চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাসের দলিল... নবমীর পুজোয় বিশেষ রীতি কনকদুর্গা মন্দিরে

Last Updated:

ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দিরের অন্দরে রয়েছে নানা অজানা গল্পকথা। সাড়ে চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাস। পুজো উপলক্ষে দর্শকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে থাকে মন্দির চত্বর।

* নবমীর পুজোয় বিশেষ রীতি কনকদূর্গা মন্দিরে
* নবমীর পুজোয় বিশেষ রীতি কনকদূর্গা মন্দিরে
ঝাড়গ্রাম: ৪৩৮ বছরের ইতিহাস। সঙ্গে মিলে মিশে মিথ। ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দিরের অন্দরে রয়েছে নানা অজানা গল্পকথা। সাড়ে চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাস। পুজো উপলক্ষে দর্শকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে থাকে মন্দির চত্বর।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদী। নদীর তীরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কনক দুর্গা মন্দির। দেবী এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা। অষ্টধাতুর এই মূর্তি ঘিরেই জমে ওঠে দুর্গাপুজো। শহুরে কোলাহল থেকে বহু দূরে কনক দুর্গার অবস্থান। প্রাচীন রীতিতে ব্যতিক্রমী আড়ম্বরহীন , ঝাঁচকচকবিহীন পুজো।ইতিহাস বলে, চিলকিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ তৈরি করেন এই মন্দির।  মন্দিরের পাশে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। নিশা পুজোয় অংশ নেন শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্যরাই।
advertisement
২০০৭-২০০৮-এ দু-বার চুরি যাওয়ার পরে নতুন করে তৈরি হয় অষ্টধাতুর মূর্তি। মন্দিরে বসে সিসিটিভি। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নেয় কনকদুর্গা মন্দির। মন্দির লাগোয়া বিশাল ভেষজের জঙ্গল। পরিচর্যার অভাবে দামী দামী ওষুধের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে গাছের রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে রক্ষী। তৈরি হয়েছে চেকপোস্ট। ভগ্নপ্রায় চিলকিগড়ের রাজবাড়ি ও কনকদুর্গা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী । পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে পুরো এলাকা। এই বছরেও পুজো উপলক্ষ্যে ভীড় ঝাড়গ্রামে। মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমেছে ভোর রাত থেকেই। বিশ্বাস থেকেই মানুষ আজও ভিড় জমিয়েছে কনকদুর্গা মন্দিরে। স্থানীয়দের বিশ্বাসের সঙ্গে মিলে গেছে দর্শনার্থীদের বিশ্বাস।
advertisement
advertisement
সারাবছর পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে ভিড় করেন। তবে দুর্গাপুজোর সময় বহু পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। এখানে পুজোর নিয়মাবলী অনেকটাই ভিন্ন। যেমন, মহাষ্টমীতে হাঁসের ডিমের ভোগ দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর চারদিন ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দিরে বিশেষ রীতি আচার মেনে পুজো চলে। এই চারদিন দেবীকে হাঁসের ডিম, মাছ পোড়া, শাক ভাজা ও পান্তা ভাতের ভোগ নিবেদন করা হয়। প্রতিবার খাবারের শেষে মায়ের জন্য একটি পান দিয়ে আসেন এখানকার পুরোহিতরা। তিথি-নক্ষত্র মেনে অষ্টমী পুজোর পর গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতর একটি কক্ষে নতুন মাটির হাঁড়িতে জল ও অন্যান্য সামগ্রী ভরে শালপাতা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে উনুনে চাপিয়ে দেন মন্দিরের মূল পুরোহিত। উনুনে তিনটি কাঠে আগুন জ্বেলে ঘরের দরজা তালা দিয়ে বন্ধ করে রাজবাড়িতে দিয়ে আসা হয়। সেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। নবমীর দিন সকালে ফের রাজবাড়ি থেকে চাবি এনে দরজা খোলা হয়, শুরু হয় নবমীর পুজো। স্থানীয়দের মতে, এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তা পূর্ণ হয়।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হাঁসের ডিমের ভোগ! চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাসের দলিল... নবমীর পুজোয় বিশেষ রীতি কনকদুর্গা মন্দিরে
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement