শেকল ও দড়ি বেঁধে শ্মশানকালীর বিসর্জন! হাজারো ভক্তের সমাগমে মায়ের বিদায়, অতীতের রীতি জানলে রীতিমত চমকে উঠবেন

Last Updated:

Dubrajpur Samsan Kali: প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর দশমীর পরের দিন অর্থাৎ একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন শ্মশান মা কালীর বিসর্জন হল। প্রাচীন রীতি মেনে কালীকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করতে নিয়ে যান স্থানীয় দাস পরিবারের সদস্যরা।

শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করা হল দুরবাজপুর শ্মশান কালীকে
শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করা হল দুরবাজপুর শ্মশান কালীকে
দুবরাজপুর, বীরভূম, সুপ্রতিম দাস: প্রতিবছরের মতো বীরভূমের দুবরাজপুরে শ্মশানকালী বিসর্জন হল। প্রাচীন রীতি মেনে কালীকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করতে নিয়ে যান স্থানীয় দাস পরিবারের সদস্যরা।
প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর দশমীর পরের দিন অর্থাৎ একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন শ্মশান মা কালীর বিসর্জন হল। প্রতিবছর শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের গ্ৰাম থেকে হাজারে হাজারে মানুষ ভিড় করেন।
কথিত আছে শতাব্দী ধরেই দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছেন। একসময় ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মাকে বের করা হত। কিন্তু বর্তমানে সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গিয়েছে। তবে এখনও শ্মশানে মাকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন করা হয়। পরম্পরা অনুযায়ী দাসপাড়ার লোকেই বিসর্জন করেন। শ্মশানেকালী বিসর্জনকে ঘিরে দাস পরিবারের লোকেদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিদায়বেলায় টয় ট্রেন চেপে পাহাড় ঘুরলেন মা! কৈলাসের পথে উমা, আবার এক বছরের অপেক্ষা শুরু
মায়ের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে সারাবছর পুজো ও দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে বৈষ্ণবদের হাতে আর বিসর্জনে হয় দাস পরিবারের হাত দিয়ে। এটাই পরম্পরা ভাবে চলে আসছে। বিশালাকার মায়ের মূর্তি শ্মশানে কালী মন্দিরের পিছনে থাকা রুজের পুকুরে বিসর্জন করা হয়। আর এই বিসর্জন দেখতে কয়েক হাজার ভক্ত ভিড় জমান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দশমীতে রাবণ বধ! ১০১’তম বছরে ‘মিনি ইন্ডিয়া’য় জ্বলল লঙ্কাধীস, বাড়তি পাওনা হায়দরাবাদের আতশবাজি প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকুন
দাস পরিবারের সদস্য গুরুপদ দাস জানান, এক সময় মাকে বেদি থেকে নামাতে গালিগালাজ করা হত এবং ঝাঁটাও দেখানো হত কিন্তু বর্তমান সভ্য সমাজে তা এখন আর করা হয় না। তবে এখনও মাকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয়। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দাসপাড়ার প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন আসেন। বিসর্জন ঘিরে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শেকল ও দড়ি বেঁধে শ্মশানকালীর বিসর্জন! হাজারো ভক্তের সমাগমে মায়ের বিদায়, অতীতের রীতি জানলে রীতিমত চমকে উঠবেন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement