Vermicompost: বিশেষ উন্নতমানের কেঁচো দিয়ে হাজার হাজার টন ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরে, জমিতে দিলে তরতরিয়ে বাড়বে গাছ

Last Updated:

Vermicompost: আইআইটি খড়গপুরের এক বিশেষ প্রজাতির কেঁচো দিয়ে দুর্গাপুরে উৎপাদিত হচ্ছে হাজার হাজার টন ভার্মি কম্পোস্ট। এই কেঁচোর উৎপত্তি ইউরোপে হলেও, এখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। এই কেঁচো সার ব্যবহারে গাছ বাড়বে তরতরিয়ে।

+
বিশেষ

বিশেষ প্রজাতির কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরে 

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরকার: আইআইটি খড়গপুরের বিশেষ  প্রজাতির কেঁচো দিয়েই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে উৎপাদিত হচ্ছে হাজার হাজার টন ভার্মি কম্পোস্ট। এই বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর নাম আইসেনিয়া ফেটিডা। এই কেঁচোর উৎপত্তি ইউরোপে হলেও, এটি এখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে যেখানে কম্পোস্টিং এবং ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয় সেখানে পাওয়া যায়। দুর্গাপুরের এক যুবক স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। কিন্তু ওই সারের গুণমাণ বাড়াতে ও দ্রুত উৎপাদন করতে কেঁচোর প্রয়োজন।
কিন্তু যে কোনও সাধারণ কেঁচো দ্বারা তা সম্ভব নয়। সেই সময় যুবক অচিন্ত পাইন আইআইটি খড়গপুর কলেজের গবেষণায় উঠে আসা শ্রেষ্ঠ কেঁচো আইসেনিয়া ফেটিডার সন্ধান পেয়েছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অচিন্তবাবু প্রথম ১০ কেজি এই উন্নত প্রজাতির কেঁচো কিনে নিয়ে আসেন দুর্গাপুরে।
আরও পড়ুনঃ বন্দেমাতরমের দেড়শো বছরপূর্তি, ১৫০ কণ্ঠে ধ্বনিত হল জাতীয় স্তোত্র! গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভূতি, রইল ভিডিও
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর এলাকায় একটি ফার্ম হাউস বানিয়ে সেখানে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেন। সেই সময় তিনি কংক্রিটের প্রায় ১০০টি চেম্বার তৈরি করেন। তার মধ্যে কলাগাছের টুকরো, কচুরিপানা-সহ গাছের শুকনো পাতা দিয়ে চেম্বারে ১০ শতাংশ অংশ ভরে দেন। তার মধ্যে ওই কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। তার উপর এক মাসের পুরোনো গোবর দিয়ে চেম্বারটি ভরে দেওয়া হয়। এই কেঁচোর পাচনক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত। অর্থাৎ খাবারও খায় দ্রুত, মল ত্যাগও দ্রুত করে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লিচু বাগানে পুলিশের হানা! জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, রঘুনাথগঞ্জে ছুটল বম্ব স্কোয়াড
মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ওই চেম্বারে কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি হয়ে যায় ৷ বর্তমানে অচিন্তবাবু প্রায় ৭০০টি চেম্বার বানিয়ে তাতে ভার্মি কম্পোস্ট সার  উৎপাদন করছেন। কেঁচোর বংশ বৃদ্ধি হওয়ায় বছরে প্রায় পাঁচ হাজার টন সার উৎপাদন করছেন তিনি। ওই সার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কৃষিকার্যের জন্য যাচ্ছে। এর ফলে সেই সব জমি এবং বাগানেও এই মূল্যবান কেঁচোর ডিম সারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও এই উপকারী কেঁচোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রয়োগে মাটি থেকে কেঁচো নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে মাটির উর্বরতা। এই কেঁচো ভার্মি ব্যবহারে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও ইউড্রিলাস ইউজেনিয়া ও আইসেনিয়া আন্দ্রেই প্রজাতির কেঁচো দিয়েও ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হয়ে থাকে। আইআইটি খড়গপুর কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আইসেনিয়া ফেটিডাকেই ভার্মি  উৎপাদনের জন্য আদর্শ বলে নির্বাচিত করেন। আমরা সকলেই জানি, মাটি উর্বরতা ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়। বর্তমানে অতিন্ত্যবাবুর কাছেও মিলছে এই বিশেষ প্রজাতির কেঁচো।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Vermicompost: বিশেষ উন্নতমানের কেঁচো দিয়ে হাজার হাজার টন ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরে, জমিতে দিলে তরতরিয়ে বাড়বে গাছ
Next Article
advertisement
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ভোরে আগুন লাগে, ২৪টি দমকল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে আনে.

  • দাহ্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ল্যাডার ব্যবহার সম্ভব হয়নি.

  • প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হলেও, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুনের উৎস নিশ্চিত হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement