Digha Jagannath Temple: দিঘার বালুতটে জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা আজ, ১০৮ উপকরণ দিয়ে হবে প্রভুর অভিষেক, হবে চক্ষুদানের সম্পূর্ণ রীতি

Last Updated:

প্রাণপ্রতিষ্টা, আপাতদৃষ্টিতে যার অর্থ হল একটি মূর্তিতে প্রাণ সঞ্চার করা। এই কাজে সফলতা পেতে বেদ এবং পুরাণ থেকে প্রাপ্ত জটিল আচার-অনুষ্ঠান ধাপে ধাপে অনুসরণ করতে হয়।

* দুপুর আড়াইটেয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বিকেল তিনটেয় হবে দ্বারোদঘাটন 
* দুপুর আড়াইটেয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বিকেল তিনটেয় হবে দ্বারোদঘাটন 
দিঘা: এ-ও যেন আরেক নীলাচলের তীর৷ নোনা বাতাস আর বালুকণার মাঝে জগন্নাথ দেবের মন্দিরপ্রতিষ্ঠা৷ যে মন্দিরে এক বার হলেও যাবেন বলে আশা করে বসে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ৷ আজ আমাদের অতি প্রিয় দিঘার সেই মন্দিরেরই দ্বারদ্ঘাটন৷ হবে প্রভুর প্রাণপ্রতিষ্ঠা।
প্রাণপ্রতিষ্টা, আপাতদৃষ্টিতে যার অর্থ হল একটি মূর্তিতে প্রাণ সঞ্চার করা। এই কাজে সফলতা পেতে বেদ এবং পুরাণ থেকে প্রাপ্ত জটিল আচার-অনুষ্ঠান ধাপে ধাপে অনুসরণ করতে হয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পর্যায় হল শোভা যাত্রা। এই যাত্রায় মন্দিরের আশেপাশে প্রদক্ষিণ করানো হয় মূর্তিকে। মন্দির অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে, সে স্থানের ঐশ্বরিক শক্তি জেগে ওঠে। প্রদক্ষিণকারীর মনের ভক্তি মূর্তির প্রাণ সঞ্চারের সূচনা করে।
advertisement
advertisement
এরপর মণ্ডপে প্রতিমা প্রত্যাবর্তনের পর শুরু হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে, মূর্তিটি একাধিক অধিবাসের মধ্য দিয়ে যায়। অধিবাসের পরে, দেব মূর্তিকে স্নান করানো হয়। এর পর আসে অভিষেকের পালা। এই রীতিতে ১০৮টি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ, যেমন পঞ্চামৃত, বিভিন্ন সুগন্ধি ফুল ও পাতার নির্যাসযুক্ত জল, গরুর শিংয়ে ঢেলে দেওয়া জল এবং আখের রস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
advertisement
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত ধাপ হল অনুষ্ঠান হল দেবতার চক্ষু দান। দেবতার চোখের চারপাশে অঞ্জন দিয়ে একটি সোনার সুই ব্যবহার করা হয়। এই সুই দেবতার প্রথম দৃষ্টির প্রখরতাকে নিয়ন্ত্রণে আনে, বলে মনে করা হয়। এছাড়া এখানে যিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন, তিনি বিগ্রহের সাথে একটি ধাতু দিয়ে সংযুক্ত হবেন।
advertisement
গতকাল ২৯ তারিখ হয়েছে মূল যজ্ঞ। গতকাল সকালবেলা আয়োজিত হয়েছে যজ্ঞ। যজ্ঞ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় ফুলের শয্যায় শয়ন করেছেন জগন্নাথ দেব। মূল তিনটি ধাপে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে জগন্নাথ দেবের। ভগবানকে প্রথমে সোনা, রূপা এবং তামার তার দিয়ে বেঁধে সেই তারটিকে প্রধান পুরোহিতের কোমরে বাঁধা হয়।
এর পরেই তিনটি ধাপে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। প্রথমে ঘট স্থাপন, তারপর কুণ্ড এবং তারপর প্রতিবিম্ব। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য পুরী থেকে বেশ কয়েকজন পান্ডা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের ভেতরে কাঠের জগন্নাথ দেবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন পান্ডারা। আর পাথরের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবে ইসকন। পাথরের জগন্নাথ দেবের এবং রাধা কৃষ্ণ দুই বিগ্রহই রয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Digha Jagannath Temple: দিঘার বালুতটে জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা আজ, ১০৮ উপকরণ দিয়ে হবে প্রভুর অভিষেক, হবে চক্ষুদানের সম্পূর্ণ রীতি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement