RAJARSHI ROY
#দেগঙ্গা: দেগঙ্গায় জমায়েত হটাতে শূন্যে গুলি চালনো ও লাঠি চার্জের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পঞ্চম দফা নির্বাচনে দেগঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের কুরুলগাছির ২১৫ নম্বর বুথ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রয়েছে উত্তেজনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি, বাহিনীর লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন-চারজন আহত হয়েছেন। বুথ থেকে বেশ কিছুটা দূরে আম বাগানে জমায়েত করেছিল তৃণমূল অভিযোগ বিরোধীদের। সেই জমায়েত হটাতে প্রথমে লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে এক রাউন্ড শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচি কেন্দ্রের মাথাভাঙার জোড়া পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি আত্মরক্ষার জন্য সিআরপিএফ গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। এর পরে পঞ্চম দফায় আবারও কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর অভিযোগকে ঘিরে তৈরী হয়েছে বিতর্ক । যদিও এই ঘটনায় কোন প্রাণহানির ঘটনা না ঘটায় প্রাথমিকভাবে স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব এর অভিযোগ তুলেছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। অভিযোগ, দেগঙ্গা বিধানসভার কুমারপুর এলাকার ৮১ নম্বর বুথ থেকে ২০০ মিটার এর বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্পে ভাঙচুর চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোয়ানেরা দাবি শাসকদলের। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বুথ অফিসে ১০ থেকে ১২ জন বসেছিল, তাঁরা ভোটারদের স্লিপ দেওয়ার কাজ করছিল। সেই সময়ই অতর্কিত হামলা চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা আহত হওয়াতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।জানায় স্থানীয় বাসিন্দা আবির হোসেন।
মিনাখাঁ বিধানসভার আটপুকুর এলাকায় দুষ্কৃতিরা বোমাবাজির করে বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্রকরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হলেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও মিনাখাঁ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত ও বুথ জ্যাম করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ভোটকেন্দ্রর মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে এবং বুথ জাম করার চেষ্টা করছে। তারপর বিজেপি প্রার্থীকে ভোট কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র বাহিনী বের করে দেয়। অন্যাদিকে, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার ভবানীপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উমানগর গ্রামের ৬৭ নম্বর বুথের ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলারও অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এছাড়াও সন্দেশখালি বিধানসভার সরবেরিয়ার ৩৪ নম্বর বুথে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, দিগবেড়িয়া প্রাইমারি স্কুলে ভোট দিতে এসে কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ফোর্সের বিরুদ্ধে পক্ষপাত ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এ দিন তিনি ভোট দিতে আসেন দিগবেরিয়া সরকারী স্কুলে। সেখানে সেন্ট্রাল ফোর্সের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার । উচ্চস্বরে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘এটা শান্তিপূর্ণ এলাকা। শীতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না। আমি সাংসদ নিয়ম জানি। শান্তিপূর্ণি ভোট হচ্ছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।