আশ্চর্য সংগ্রহ! গ্রামের এই ঘর যেন আস্ত ‘টাইম মেশিন’! বৃদ্ধ কীভাবে পেয়েছেন এত পোস্টকার্ড?

Last Updated:

বছরের পর বছর সংরক্ষণে রেখেছেন এই সমস্ত ফটো দেওয়া কার্ড। পুরনোদের কাছে এক নস্টালজিয়া।

+
ফটো

ফটো পোস্টকার্ড সংরক্ষণ।

দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: প্রথমে দেখে মনে হবে এগুলি সামান্য প্রিন্টেড ফটোগ্রাফ। তবে হাতে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ যাচাই করলেই জানা যাবে, এগুলি আসলে কী! এক বৃদ্ধ বছরের পর বছর ধরে একটি একটি করে সংরক্ষণ করেছেন একাধিক এই জিনিস। সামান্য এই ছবি লাগানো কাগজের গুরুত্ব অপরিসীম। যা এখন জানেই না বর্তমান প্রজন্ম। প্রতিটি কাগজ প্রমাণ করে পুরোনো নানা দিনের কথা।
ইতিহাসের সেই সমস্ত দিনকে এখনও আগলে রেখেছেন তিনি। বয়স্কদের কাছে যেমন নস্টালজিয়া, যুব প্রজন্মের কাছে এক আশ্চর্যের জিনিস। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও দেশ ও বিদেশের একাধিক ফটো পোস্টকার্ড সংরক্ষণ করেছেন এই বৃদ্ধ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার কাছে আসত এই সকল ফটো পোস্ট কার্ড। বৃদ্ধের এক অতি পরিচিত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে গিয়ে সেখান থেকেই লিখেছেন পোস্টকার্ড।
advertisement
আরও পড়ুন : গ্রাহকের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা! নন্দীগ্রামে হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রশাসনের হানা
যা সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে এসে পৌঁছেছে গ্রাহকের কাছে। বিনা খামে আসা এই সকল চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন পোস্টম্যানরা। সেই তালিকায় রয়েছে বিদেশের একাধিক জায়গার পোস্ট কার্ড। যার সংখ্যাটাও কম নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার জামুয়াপাতি এলাকার বাসিন্দা অতনু নন্দন মাইতি। অতনু বাবুর এক পরিচিত কখনও প্যারিস, কখনও আর্জেন্টিনা, প্যাটাগোনিয়া, গ্রীস সহ বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে সেখানে ফটো পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন তাঁকে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেবেন বাঁকুড়ার শিক্ষক! অভিনয়, গান, শর্টফিল্ম সবেতেই পারদর্শী
খাম বিহীন এই পোস্ট কার্ডে লিখেছেন তার মনের কথা এবং বৃত্তান্ত। কখনও ৩০ দিন আবার কখনও ৪০ দিনের মাথায় সুদূর আমেরিকা বা আর্জেন্টিনা থেকে এসে পৌঁছেছে জামুয়াপাতি গ্রামে। এছাড়াও তাঁর কাছে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক ফটো পোস্টকার্ড। যেখানে বাংলাদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি ছবি দিয়ে পোস্টকার্ড তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার। সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্তের কারণে যুব প্রজন্ম জানেই না ভারতের ডাক বিভাগ এবং তৎকালীন সময়ে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমগুলি। তবে এই বৃদ্ধ নিজের সংরক্ষণে রেখেছেন সেগুলি। যা আগামী প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে চান তিনি। তার এই সংরক্ষণের মানসিকতা এবং ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আশ্চর্য সংগ্রহ! গ্রামের এই ঘর যেন আস্ত ‘টাইম মেশিন’! বৃদ্ধ কীভাবে পেয়েছেন এত পোস্টকার্ড?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement