#বর্ধমান: রমজান মাস শুরু হতেই শনিবার বর্ধমানের ফলের বাজারে উপচে পড়ল ভিড়। ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেল বর্ধমানের বি সি রোডের ফল বাজারে। লক ডাউন ভেঙে বহু বাসিন্দাই ফল কিনতে এদিন বর্ধমানের ফল বাজারে ভিড় করেন। যদিও এই বিক্রিবাটা আশাব্যঞ্জক নয় বলেই জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন ফলের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে এটা ঠিকই। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। বাসিন্দাদের অনেকেই ঘরের বাইরে আসতে পারেননি। অনেকেই করোনা সংক্রমনের আশঙ্কায় বাড়িতেই থেকেছেন।
অন্যান্যবার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি পাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ ফল কিনতে বাজারে ভিড় করেন। এবার বাস-ট্রেন সহ অন্যান্য যানবাহন না চলায় তাঁরা আসতে পারছেন না।তাই শহরের কিছু মানুষ ভিড় করলেও বেশির ভাগ ক্রেতাই এদিন আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, অন্যান্যবার রমজান মাস জুড়ে অনেক ইফতার পার্টি হয়। সেজন্য এক সঙ্গে অনেক ফল বিক্রি হয়। করোনার আবহে এবার সেইসব ইফতার হবে না। তার ওপর অনেকেরই মাসাধিককাল কাজ নেই। উপার্জন বন্ধ। কেনাকাটার মতো সামর্থ হারিয়েছেন অনেকেই।
অন্যান্য বারের মতো এবার বাড়েনি ফলের দাম। কলা, আপেল,আঙুর, তরমুজ,শসার দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। আমদানি করা ফল শহরের বাইরে যেতে পারছে না এবং জোগানের তুলনায় চাহিদা কম থাকার কারণেই ফলের দাম সেভাবে এবার বাড়েনি বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।বর্ধমানের বাজারে এদিন শশার কেজি প্রতি দাম ছিল পনের টাকা।তরমুজও পনের টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। এক কেজি আঙুরের দাম ছিল সত্তর টাকা।আপেল ও আম বিক্রি হয়েছে দেড়শ টাকা কেজি দরে। ভালো মুসুম্বি লেবুর দাম ছিল একশো টাকার মধ্যে।ভালো সিঙ্গাপুরি কলা বিক্রি হয়েছে চল্লিশ টাকা ডজন দরে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল আসে বর্ধমান শহরে। সেখান থেকে সেই ফল কালনা,কাটোয়া, মেমারি, রায়না, সেহারাবাজার সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি আরামবাগ,বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যায়। লক ডাউন এর জন্য সেই সব ফলের গাড়ি শহরের বাইরে যেতে পারছে না। অনেকে সেই ঝুঁকিও নিতে চাইছেন না। তার ফলে শহরের মধ্যেই ফলের যোগান বেড়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই কম দামে সেই ফল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Crowd, Ramadan, Social Distancing