একটা মিসড কল, প্রেম... ছলে বলে ভুলিয়ে প্রেমিকাকে বিক্রি নিষিদ্ধপল্লীতে... হাড়হিম ঘটনা, পরিণতি মর্মান্তিক

Last Updated:

টিআই প্যারেডে কিশোরী মূল অভিযুক্তকেই শনাক্ত করে। সেই থেকেই জেল হেফাজতে ছিল শাহজাহান ওরফে সাদ্দাম। দীর্ঘ কয়েক বছর মামলা চলার পর অবশেষে ওই তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে, সাজা ঘোষণা করেন তমলুকের পকসো আদালতের বিচারক সুস্মিতা ভট্টাচার্য।

+
জেলা

জেলা আদালত

তমলুক: প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে ঠাঁই হয় পতিতালয়ে। সেখান থেকে সিনেমার মতো উদ্ধার। এতদিন সিনেমার পর্দায় যা দেখেছেন, তাই উঠে এল তদন্তে।  ঘটনায় পতিতালয়ের মালকিন-সহ তাঁর স্বামী এবং ওই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর অবশেষে তাদের সাজা শোনাল তমলুকের পকসো আদালত।
একটা অচেনা মিসড কল থেকে শুরু হয় আলাপ। ধীরে ধীরে ঘনিয়ে ওঠে প্রেম। প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি ছেড়েছিল বছর ১৭ এক নাবালিকা। ভেবেছিল, নতুন জীবনের শুরু হবে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের খেসারত দিতে হল ভয়ঙ্করভাবে। এই ঘটনাই বর্তমানে ‘মহিষাদলকাণ্ড’ নামে চিহ্নিত।
ঘটনাটি ২০১৫ সালের। পাঁশকুড়া থানা এলাকার ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে হঠাৎ করেই ফোনে আলাপ হয় এক যুবকের। যুবক নিজের নাম ভাঁড়িয়ে পরিচয় দিয়েছিল ‘সাদ্দাম’ নামে। নিয়মিত ফোনালাপে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা, গড়ে ওঠে বিশ্বাসের সম্পর্ক। একদিন সেই যুবকের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি ছাড়ে কিশোরী। ভেবেছিল প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধবে। কিন্তু বাস্তব ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। আত্মীয় অসুস্থ থাকায় তার বাড়ি যাওয়ার বাহানা দিয়ে ‘সাদ্দাম’ তাকে সোজা নিয়ে আসে মহিষাদলের কুখ্যাত যৌনপল্লিতে। সেখানেই সাত হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় মেয়েটিকে। অন্যদিকে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় পাঁশকুড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করে বাবা-মা।
advertisement
advertisement
যৌনপল্লিতে আসা এক গ্রাহকের কাছে সাহস করে নিজের দুঃখের কাহিনী বলে নাবালিকা। অনুরোধ করে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য। গ্রাহক ফোন করেন মেয়েটির পরিবারে। খবর পেয়েই থানায় ছুটে যায় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার তৎকালীন এসআই মানস মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ মহিষাদলের ‘রায়ের ঠেক’ -এ হানা দেয়। সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়, নেওয়া হয় তার গোপন জবানবন্দি। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ওই যৌনপল্লির মূল কারবারী সায়রা বানু ও তার স্বামী টিটু রায়কে। প্রথমে ধরা না পড়লেও দেড় বছর পর পুলিশের জালে আসে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক ‘সাদ্দাম। যদিও তার আসল নাম শাহজাহান চিত্রকর।
advertisement
টিআই প্যারেডে কিশোরী মূল অভিযুক্তকেই শনাক্ত করে। সেই থেকেই জেল হেফাজতে ছিল শাহজাহান ওরফে সাদ্দাম। দীর্ঘ কয়েক বছর মামলা চলার পর অবশেষে ওই তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে, সাজা ঘোষণা করেন তমলুকের পকসো আদালতের বিচারক সুস্মিতা ভট্টাচার্য। সরকারি আইনজীবী কিংকর গায়েন বলেন, ‘নারী পাচারচক্রে অভিযুক্তদের ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। শাহজাহান চিত্রকর ও সায়েরা বানুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং টিটু রায়কে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
একটা মিসড কল, প্রেম... ছলে বলে ভুলিয়ে প্রেমিকাকে বিক্রি নিষিদ্ধপল্লীতে... হাড়হিম ঘটনা, পরিণতি মর্মান্তিক
Next Article
advertisement
Success Story: বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন
বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থানে, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেলেন
  • বাবা-মা সরকারি অফিসার

  • মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন

  • এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন

VIEW MORE
advertisement
advertisement