Murshidabad Tourism: মুর্শিদাবাদে ফের জেগে উঠবে সিরাজউদ্দৌলার নিদর্শন! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Last Updated:

মুর্শিদাবাদের অন্যতম নিদর্শন বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টের বড় বন্দোবস্ত

+
ভাগীরথী

ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত হিরাঝিলের ধ্বংসাবশেষ 

মুর্শিদাবাদ: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার তৈরি মুর্শিদাবাদের হিরাঝিল প্রাসাদ ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই জায়গাটি এখন কি অবস্থায় রয়েছে, হিরাঝিল প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ রক্ষা করা যায় কি না তা নিয়ে রিপোর্টও চেয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও হিরাঝিল প্রাসাদকে বাঁচানোর ডাক দিয়েছে সকলেই। ইতিমধ্যেই ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনে গিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি রাজ্যেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যদিও নতুন করে ভাগীরথীর তীরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক চাইছেন সকলেই। শুধু হাজারদুয়ারী প্রাসাদ নয়, হিরাঝিলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠুক বড় পর্যটন কেন্দ্র।
মুর্শিদাবাদ চলে নবাব সিরাজউদ্দৌলার নামে, অথচ নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রায় কোনও নিদর্শন নেই বললেই চলে। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতীচৌরাহ মৌজার বাগান পাড়ায় অবশিষ্ট একটি ধ্বংস স্তুপের চিহ্ন পাওয়া গেছিল। প্রাথমিকভাবে সকলের অনুমান সেটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হিরাঝিল প্রাসাদ।
advertisement
advertisement
আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলীবর্দী খাঁ, তার নাতি সিরাজউদ্দৌলার জন্য মতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলকের অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হিরের মত চকচক করত, আর সেই কারণে লোকোমুখে এই স্থানের নাম হয় হিরাঝিল প্রাসাদ।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, সিরাজদ্দৌলার তৈরি হিরাঝিল প্রাসাদের শেষ অংশটুকু সংরক্ষণের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জনের সওয়াল, ওই স্থাপত্যের অবশিষ্টাংশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত শুনানিতে ওই মামলায় রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল, ১৭৫৮ সাল নাগাদ ওই প্রাসাদ ধ্বংস করেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটিশ শাসনকালের আগেই পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে হিরাঝিল। সেখানে ইতিহাসের আর কোনও অংশই টিকে নেই। মামলাকারীদের তরফে পাল্টা বলা হয়, ওই স্থাপত্যের কিছু অংশ এখনও রয়েছে। এর আগে ভাগীরথীর গর্ভে কিছুটা অংশ তলিয়ে গিয়েছে। বাকি অংশ রক্ষা নিয়ে রাজ্য পদক্ষেপ করুক।
advertisement
কৌশিক অধিকারী 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Murshidabad Tourism: মুর্শিদাবাদে ফের জেগে উঠবে সিরাজউদ্দৌলার নিদর্শন! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement