East Medinipur News: মোমো খেলেই আনলিমিটেড স্যুপ ফ্রি! এগরার দোকানে লম্বা লাইন 

Last Updated:

উত্তরবঙ্গ থেকে শেখা মোমোর জাদু! তাঁর মোমোর অতুলনীয় স্বাদ আর আনলিমিটেড ফ্রি স্যুপ ফ্রি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় তুলেছেন 'এই' যুবক।

+
মোমো

মোমো দোকান 

এগরা, মদন মাইতি: এখানে মোমো খেলেই মিলছে আনলিমিটেড স্যুপ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এক প্লেটে পাঁচ পিস মোমো, সঙ্গে টক দই, চাটনি, আর আনলিমিটেড স্যুপ ফ্রি। এমন অফার পেয়ে প্রতিদিনই দোকানের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন মোমো লাভাররা। চিকেন কিংবা ভেজ—যে মোমোই নিন না কেন, স্যুপ দেওয়ার কোনও শেষ নেই। যতবার চাইবেন, ততবারই দোকানদার নিজে হাতে গরম স্যুপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। স্বাদও এমন যে একবার খেলেই বারবার আসতে মন চাইবেই। তাই দোকানের নামও ‘টেস্টি মোমো’।
প্রতিদিন ভিড় এতটাই থাকে যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত মোমো বিক্রি হয়ে যায়। সন্ধ্যা হলেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরের এই ছোট্ট মোমো দোকানের সামনে ক্রেতাদের লাইন পড়ে যায়, চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যায় সব স্টক।
advertisement
advertisement
ভগবানপুর ২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবুদ্দিন গ্রামের যুবক রমেশ দাস। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খুব অল্প বয়স থেকেই কর্মজীবন শুরু তার। ২০১৪ সালে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন রোজগারের তাগিদে রমেশ পাড়ি দেন উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে। একটি হোটেলে কর্মরত অবস্থায় মোমো বানানো শেখে সে। প্রথমদিকে ছিল স্রেফ কাজের প্রয়োজন, কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর হাতে বানান মোমো এমন স্বাদ তৈরি করল যে সহকর্মী থেকে শুরু করে ক্রেতা—সবাই তাঁর রাঁধুনির গুণে মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
advertisement
কয়েক বছর পর রমেশ বাড়ি ফিরে নিজের মোমো দোকান শুরু করার পরিকল্পনা করলেন। ভগবানপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এগরা কৃষি মেলায় তাঁর প্রথম মোমো দোকান। মেলায় তাঁর বানান মোমোর কদর দিনে দিনে বাড়তে থাকে। সেই চাহিদাকে দেখেই তিনি ঠিক করেন একটি স্থায়ী দোকান করার। এগরা শহরে শুরু করলেন ছোট মোমোর দোকান—নাম রাখলেন ‘টেস্টি মোমো’। দোকানের শুরু থেকেই চালু করলেন —মোমো খেলেই আনলিমিটেড স্যুপ ফ্রি। রমেশের কথায়, “আপনি যতক্ষণ স্যুপ খেতে পারবেন, ততক্ষণ আমি দিয়ে যাব।”
advertisement
প্রতিদিন বিকেল চারটেয় দোকান খোলার জন্য রমেশ ৪০ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে এগরায় পৌঁছে যান। রাত আটটার মধ্যেই প্রায় সব মোমো বিক্রি হয়ে যায়। তারপর রাতেই তিনি আবার ফিরে যান বাড়ি। এত দূরে দোকান করার কারণ কী? রমেশ জানিয়েছেন, এখানে তিনি প্রথম মোমো দোকান দিয়েছিলেন।
advertisement
এই এলাকাতেই তাঁর মোমোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, এখানকার মানুষ তাঁর মোমোর স্বাদ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। তাই তিনি কোনও দিন এই পরিশ্রমকে কঠিন মনে করেন না। বরং মানুষের ভালবাসাকে তিনি নিজের প্রেরণা বলে মনে করেন। আপনারও যদি কোনও দিন এগরা যাওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে এই অতুলনীয় স্বাদের মোমো আর আনলিমিটেড স্যুপ না খেলে সত্যিই মিস করবেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: মোমো খেলেই আনলিমিটেড স্যুপ ফ্রি! এগরার দোকানে লম্বা লাইন 
Next Article
advertisement
‘অরুণাচল চিনের অংশ'! সাংহাই বিমানবন্দরে আটকে রাখা হল ভারতীয় মহিলাকে! তাঁর পাসপোর্ট 'অবৈধ' ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ
‘অরুণাচল চিনের অংশ'! সাংহাই বিমানবন্দরে আটকে রাখা হল ভারতীয় মহিলাকে! পাসপোর্ট 'অবৈধ'
  • এক ভারতীয় মহিলাকে সাংহাই বিমানবন্দরে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়, কারণ তাঁর পাসপোর্টকে অবৈধ বলা হয়.

  • চিনা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, মহিলার জন্মস্থান অরুণাচল প্রদেশ চিনের ভূখণ্ড, তাই তাঁর পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়.

  • মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁকে নতুন টিকিট কিনতে বাধ্য করা হয় এবং ভারতীয় কনসুলেটের সহায়তায় তিনি শহর ছাড়েন.

VIEW MORE
advertisement
advertisement