হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
চৈত্র সেলের জন্য প্রচুর টাকার জিনিস কিনেছিলেন, এখন লকডাউনে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

চৈত্র সেলের জন্য প্রচুর টাকার জিনিস কিনেছিলেন, এখন লকডাউনে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

এই চিঠি পাওয়ার পরই নেপাল সীমান্ত লাগোয়া বিহারের সাতটি জেলার পুলিশ সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে৷ সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবেই যাতে কেউ এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ PHOTO- FILE

এই চিঠি পাওয়ার পরই নেপাল সীমান্ত লাগোয়া বিহারের সাতটি জেলার পুলিশ সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে৷ সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবেই যাতে কেউ এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ PHOTO- FILE

চৈত্র সেলের জন্য অনেকে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে পোশাক কিনেছিলেন

  • Share this:

#বর্ধমান: মাথায় হাত সেলের ব্যবসায়ীদের। চৈত্র সেলের জন্য অনেকে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে পোশাক কিনেছিলেন। সেই সব পোশাক এখন বস্তাবন্দি অবস্থায় ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে, বহু পোশাক নষ্ট হওয়ায় জোগাড়। কী করে এই লোকসান সামলাবেন ? বুঝে উঠতে পারছেন না ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকেই। বড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেল ও ইদের বাজারের জন্য অনেকেই শাড়ি-জামা-কাপড় তুলেছিলেন। কিন্তু সবই দোকানে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই লোকসানের সুদূরপ্রসারী ফল হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।

বর্ধমানে এই সময় চৈত্র সেলের ভরা মরশুম থাকে। বর্ধমানের বি সি রোড, পার্কাস রোড সংলগ্ন জি টি রোড প্রতিবছরই সেলের বাজারে জমজমাট থাকে। প্রতিদিন ফুটপাথেই বেশ কয়েক লক্ষ টাকার বেচাকেনা হয়।বিছানার চাদর থেকে জানালার পর্দা... সেলের বাজারে মেলে সবই। বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও সেলের বাজারের অপেক্ষায় থাকেন। শুধু বর্ধমান শহর বা পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা নন, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি জেলা থেকেও অনেকে সেলের বাজার করতে বর্ধমানে আসেন। তাঁদের হাত ধরে বিক্রি বাড়ে ফাস্ট ফুডের দোকানগুলিতেও।

ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে অনেকে কেনাকাটা করেন। আবার তা শেষ হতে না হতেই জমে ওঠে ইদের বাজার। এই সময়ের উপার্জনের টাকায় সংসার খরচ চালিয়ে পুজোর বাজারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু এবার সব শেষ হয়ে গেল। ছোট ব্যবসায়ীরা অনেকেই দেড় দু লাখ টাকা করে পোশাক কিনে এনেছিলেন হাওড়া-সহ কলকাতার বিভিন্ন হাট থেকে।  অনেকে ধার দেনা করে সেসব কিনেছিলেন। কিন্তু বিক্রি শুরু হওয়ার আগেই লকডাউন। সেলের বাজার তো গেলই, সেই সঙ্গে শেষ ইদের বাজারও। তাঁরা বলছেন, 'লকডাউন উঠলেও যে বাজার জমবে, এমন আশা করছি না। মানুষের হাতে কাজ নেই। অর্থও নেই। এর প্রভাব পুজোর বাজারেও পড়বে। এবার পুজোর বাজারও তেমন জমবে না।'

Saradindu Ghosh

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Chaitra Sale