Burima Tree in Krishnanagar: বিশ্বাসের কাছে হার মানল হাইকোর্টের নির্দেশ, বুড়িমার গাছ না কেটেই ফিরতে হল প্রশাসনকে
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
- Reported by:MAINAK DEBNATH
Last Updated:
Burima Tree in Krishnanagar: কৃষ্ণনগর মানেই জগৎ বিখ্যাত জাগ্রত দেবী জগদ্ধাত্রী মা বুড়িমা। তবে এই বুড়িমা মন্দিরের সামনে শতাব্দী প্রাচীন গাছকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।
কৃষ্ণনগর: শ্রদ্ধা এবং ভক্তির কাছে হার মানল হাইকোর্টের নির্দেশ, গাছ না কেটেই ফিরতে হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। নদিয়ার কৃষ্ণনগর জগৎ বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর কারণে। আর কৃষ্ণনগর মানেই জগৎ বিখ্যাত জাগ্রত দেবী জগদ্ধাত্রী মা বুড়িমা। তবে এই বুড়িমা মন্দিরের সামনে শতাব্দী প্রাচীন গাছকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।
বুড়িমার মন্দিরের সামনে অবস্থিত গাছ বিশাল আকার এবং অনেক বড় তাই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী বাড়িকে স্পর্শ করেছে বুড়িমার গাছ। এই গাছেই বহু ভক্ত তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে বাধেন ঢিল এবং সুতো। এর আগেও এই গাছকে কাটবার জন্য কৃষ্ণনগর পুরসভাকে আবেদন করেছিল পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক কানাই মল্লিক। তবে পুরসভার তরফে গাছ কাটতে এসে গাছ কাটার কর্মীরা মাতা বুড়িমার গাছ দেখে প্রণাম করে চলে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাক্তন রেডিও জকি এই বাঙালি সুন্দরীকে চেনেন? সোনু নিগমের সঙ্গে রয়েছে গভীর যোগ!
তারপর পৌরসভা জানায় বন দফতরকে জানাতে হবে কারণ তারা গাছ কাটার লোক পাচ্ছে না। পরবর্তীতে কানাইবাবু কলকাতা হাইকোর্টে এই গাছটিকে কেটে ফেলার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের ভিত্তিতে কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে গাছটিকে কেটে ফেলার। সে কারণেই এদিন সকালে বন দফতর এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ-সহ কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা গাছ কাটার জন্য কোর্টের অর্ডার নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে আসেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার রাজদীপ এখন ‘ছোট্ট বাপ্পিদা’, কারণ জানলে চমকে যাবেন! চেনেন এই খুদেকে?
তবে কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহুদূর। এলাকাবাসী এবং আপামর বুড়িমার ভক্তবৃন্দদের কাতর অনুরোধ এবং তাদের আবেগের কথা মাথায় রেখে কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও, গাছ না কেটেই ফিরতে হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। তবে এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সম্পাদক জানাচ্ছেন তারা দশ দিন সময় নিয়েছেন এই গাছটিকে না কেটে কীভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। তার কারণ এই গাছকে ঘিরে বহু মানুষের আবেগ ভক্তি জড়িয়ে রয়েছে।
advertisement
এবং কানাইবাবুর যে বিপজ্জনক বাড়ি মন্দিরের সামনে রয়েছে সেটি থেকে সাধারণ মানুষের যে কোনও সময় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বাড়িটিকে কীভাবে ভেঙে ফেলা যায়। তবে পুলিশ আধিকারিক এবং বন দফতর সূত্রে খবর মানুষের আবেগ যেরকম কাজ করে, সেরকম হাইকোর্টের নির্দেশও চূড়ান্ত। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই চলতে হবে মন্দির কমিটিকে।
advertisement
যদিও সাত সকালে বুড়িমার গাছ কাটা নিয়ে রীতিমতো সাধারণ ভক্তবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কথাবার্তায়। আদৌ কি সুফল মিলবে সে দিকেই তাকিয়ে আপামর কৃষ্ণনগরবাসী। তবে এলাকাবাসীর আরও একটি প্রশ্ন যখন গাছ বাঁচাও প্রাণ বাঁচাও স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে কীভাবে আদালত গাছ কাটার জন্য অনুমতি দেয়।
Mainak Debnath
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 13, 2024 5:45 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Burima Tree in Krishnanagar: বিশ্বাসের কাছে হার মানল হাইকোর্টের নির্দেশ, বুড়িমার গাছ না কেটেই ফিরতে হল প্রশাসনকে