হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
'রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাননি কেন?' ঝাঁঝিয়ে উঠলেন বর্ধমান মেডিক্যালের নার্স

Burdwan Medical College and Hospital: 'নার্সিংহোমে নিয়ে যাননি কেন?' রোগীর পরিবারকে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন বর্ধমান মেডিক্যালের নার্স

'রোগীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাননি কেন?' বিরক্তির সঙ্গে প্রশ্ন নার্সদের 

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: ''রোগীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাননি কেন?'' বিরক্তির সঙ্গে প্রশ্ন নার্সদের। ডাক্তার রোগীকে দেখার পর জীবনদায়ি ইঞ্জেকশন প্রেসক্রাইব করেছিলেন। রোগীর পরিজন  সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে সেই ইঞ্জেকশন কিনে এনে দেয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তা রোগীর দেহে প্রয়োগের কোনও উদ্যোগ নেননি নার্সরা। তা দেখে বলতে গেলে বিরক্তির সঙ্গে নার্সরা রোগীর আত্মীয়দের এই প্রশ্ন-ই করেন। রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ' ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছে রোগীর পরিবার।

সময়ে ইঞ্জেকশন না দেওয়ার জন্যই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আবারও বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বললেও কর্তব্যরত নার্সরা সময় মতো তা  দেয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রোগীর শ্বাসকষ্টের সময় বারে বারে ডাকা হলেও আসেননি নার্সরা। উলটে 'বেসরকারি হাসপাতালে কেন নিয়ে যান নি ?' বিরক্তির সঙ্গে এমন প্রশ্নও করা হয় রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন কালনার বাসিন্দা গৌতম বারুই(৪৫)। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিছুদিন পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। ফের শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে ৬ ডিসেম্বর  কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন রোগীর পরিবার।অভিযোগ, সন্ধ্যায় চিকিৎসক দেখে নেবুলাইজার এবং ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন। বাইরে থেকে ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়ার পরও নার্সরা তা সময়মতো দেয়নি বলে অভিযোগ। বারে বারে তা দিতে বলা হলে নার্সরা দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, বারে বারে সমস্যার কথা বলতে গেলে সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। সময় মতো ইঞ্জেকশন না দেওয়াতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে আত্মীয়দের অভিযোগ।

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Burdwan Medical College