পুজোর সময়ও খদ্দেরের দেখা নেই, হতাশ বর্ধমানের ইতিহাস প্রাচীন জহুরিপট্টি
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
কয়েক বছর আগেও বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদের সোনা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকেই অর্ডার দিয়ে সোনা, রূপোর গয়না তৈরি করে নিয়ে যেতেন।
#বর্ধমান: পুজোর সময়ে খদ্দেরের দেখা নেই বর্ধমানের ইতিহাস প্রাচীন সোনা পট্টিতে। কাজ হারিয়েছেন কয়েক হাজার কারিগর। বেচাকেনা বন্ধ। বেশ কিছু দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে আগেই। বাকিগুলিও বন্ধ হওয়ার মুখে।
জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, লাফিয়ে লাফিয়ে সোনার দাম বাড়, তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত হওয়াকেই এই অচলাবস্থার জন্য দায়ি করছেন স্বর্ন ব্যবসায়ী, কারিগর সকলেই। পুজোর পর বিয়ের মরশুম। তার জন্যও খদ্দেরের তেমন দেখা নেই। এখন পুজোর মরশুমেও এলাকা শুনশান। সব মিলিয়ে আর্থিক মন্দায় ধুঁকছে বর্ধমানের জহুরিপট্টি।
১৮৫৮ সালে কাঞ্চন নগর থেকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত হয় বর্ধমান রাজবাড়ি। রাজবাড়ির গায়েই তৈরি হয় বাজার চাঁদনিচক। তার ঠিক পাশেই জায়গা পায় স্বর্ণ শিল্পীরা। গড়ে ওঠে জহুরিপট্টি। শুধু বর্ধমান নয়, একসময় রাঢ়বঙ্গের বড় সোনাপট্টি হয়ে ওঠে এটি। কয়েক বছর আগেও বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদের সোনা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকেই অর্ডার দিয়ে সোনা, রূপোর গয়না তৈরি করে নিয়ে যেতেন।
advertisement
advertisement
এক দশক আগেও এখানে দশ হাজারেরও বেশি কারিগর কাজ করতেন। মেদিনীপুর, আরামবাগ, বাঁকুড়ার কারিগররা এই বাজারে দিন রাত কাজ করতেন। এখন কাজ না থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন । এখনও আড়াই হাজার কারিগরফ রয়েছেন। কাজ না থাকায় কেউ টোটো চালিয়ে, কেউ সবজি বেচে উপার্জনের পথ খুঁজছেন।
advertisement
বৈশাখ মাস থেকে ভরা মরশুম শুরু হয়ে যেত বর্ধমানের জহুরিপট্টিতে। বিয়ের মরশুম শেষ হতে না হতেই পুজোর মরশুমের ব্যস্ততা শুরু হতো। এই সেদিনও তিন শিফটে কাজ হতো অনেক কারখানায়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঠুকঠাক শব্দে কর্মব্যস্ত থাকতো জহুরিপট্টি। এখন সেখানে দিনের বেলাতেই রাস্তা শুনশান। অনেকেই লোকসান কমাতে কারিগরদের ছাড়িয়ে দিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বসেও বউনি করতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী।
advertisement
পূর্ব বর্ধমান স্বর্নকার সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, বাসিন্দাদের অনেকেরই হাতে এখন মুদিখানা বাজার করারও অর্থ নেই। সোনা কিনবে কোথা থেকে। একে আকাশছোঁয়া দাম, তার ওপর যোগ হচ্ছে মোটা টাকার জিএসটি। খদ্দের সব শুনে ফিরে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় বার আর আসছেন না। অনেক কারিগর পুজোয় ছেলেমেয়েদের জামাকাপড় কিনে দিতে পারছেন না। চাল কেনার টাকাটুকুও তাদের হাতে নেই।
advertisement
SARADINDU GHOSH
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 20, 2022 5:04 PM IST