শুরুর নিয়ম মেনে রবিবারেও খোলা থাকে এই স্কুল... বন্ধ থাকে সোমবার! কেন এই অদ্ভুত নিয়ম?

Last Updated:

ব্রিটিশদের চরম অত্যাচারের কাছে মাথা নত করেনি বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলটি। আজও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান জানাতে রবিবার স্কুলে বেজে উঠে ঘণ্টা, আসেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা, চলে পঠন-পাঠন।

News18
News18
জামালপুর: তখন ব্রিটিশ শাসন। ইংরেজদের নিয়মে সানডে অর্থাৎ রবিবার ছুটি। অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ইংরেজদের চালু করা এই নিয়মের বিরোধিতায় রবিবারের বদলে সোমবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল স্কুল। শুরুর সেই নিয়ম মেনে আজও রবিবার স্বাভাবিক পঠনপাঠন চলে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে।
ব্রিটিশদের চরম অত্যাচারের কাছে মাথা নত করেনি বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলটি। আজও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান জানাতে রবিবার স্কুলে বেজে উঠে ঘণ্টা, আসেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা, চলে পঠন-পাঠন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রগণ্য ভূমিকা নেওয়া নিজেদের স্কুলের জন্য আজও গর্ববোধ করেন স্কুলের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা।
advertisement
এই স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে সোমবার।১৯২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নাগপুরে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে প্রস্তাব আনেন মহাত্মা গান্ধী। শুরু হয় বিদেশি দ্রব্য বর্জন। এরই মাঝে ১৯২২ সালের ৫ ই জানুয়ারি পথচলা শুরু হয় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ের। ব্রিটিশদের কোনরকম সাহায্য ছাড়াই দেশপ্রেমিকরা গড়ে তুলেছিলেন এই স্কুল। ব্রিটিশদের নিয়মের বিরোধিতা ও গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে সামিল হওয়াই ছিল এই স্কুলের প্রধান লক্ষ্য। এরপর এসেছে স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে ও তাদের আত্মবলিদানকে স্মরণে রাখতে স্বাধীনতার ৭৯ তম বর্ষ উৎযাপনের সময়ে আজও সেই ধারা বহমান। প্রতি রবিবার আজও স্কুলের ঘণ্টা বাজে, প্রার্থনা হয়, চলে পঠন-পাঠন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শুরুর নিয়ম মেনে রবিবারেও খোলা থাকে এই স্কুল... বন্ধ থাকে সোমবার! কেন এই অদ্ভুত নিয়ম?
Next Article
advertisement
Purba Bardhaman News: আউশগ্রামে বিলুপ্ত প্রায় ধুসর নেকড়ে ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরায়, শুরু বৃহৎ সমীক্ষা!
আউশগ্রামে বিলুপ্ত প্রায় ধুসর নেকড়ে ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরায়, শুরু বৃহৎ সমীক্ষা!
  • ভারতীয় ধূসর নেকড়ে বিলুপ্তির পথে এগোলেও গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার দেখা মিলেছে। দিল্লিতে দেখা পাওয়ার পর এবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে নেকড়ের স্থায়ী বাসস্থান তৈরি হচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বন দফতর। দুর্গাপুরের পরে আউশগ্রাম জঙ্গলেও লাগানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা, যাতে নেকড়ের গতিবিধি, সংখ্যা ও আচরণ নিরীক্ষণ করা যায়।

VIEW MORE
advertisement
advertisement