Pawan Singh: পবন সিংয়ের সরে দাঁড়ানো, ‘বাংলার মানুষের জয়...’ ভোট প্রচারে ব্যবহার শুরু তৃণমূলের

Last Updated:

TMC on Pawan Singh: আসানসোলের ময়দানে নেমে পড়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। 

পবন সিং
পবন সিং
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আসানসোল নিয়ে বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক অস্বস্তি অব্যাহত। রবিবারই ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আসানসোলে বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী পবন সিং। বাংলার মহিলাদের নিশানা করে অশ্লীল গান রচনা করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য সেই কারণেই রাতারাতি নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যান পবন সিং।
পবন সিংয়ের সিদ্ধান্তকে বাংলার মানুষের জয় হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পবন সিংয়ের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যে এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্ট করেছিলেন, ‘‘The INDOMITABLE SPIRIT AND POWER OF THE PEOPLE OF WEST BENGAL. #Jonogorjon” ৷
advertisement
advertisement
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রতিক্রিয়া হল, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এলেন এবং নারীশক্তি ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক বক্তৃতা দিয়ে গেলেন। তারপর তিনি এমন একজনকে টিকিট দিলেন, যিনি বাংলার নারীদের অপমান করেছেন। এটাই হল ‘মোদির গ্যারান্টি’ – যদি আপনি বাংলার এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলেই বিজেপি আপনাকে টিকিট দেবে। তিনি কেবলমাত্র বদলা নেওয়ার জন্য দু’বছর ধরে বাংলার হকের টাকা আটকে রেখেছেন। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বাকি রাখা সেই টাকা নিজের কোষাগার থেকে মেটাচ্ছে। এই কারণেই আমরা ওদের বাঙালি-বিরোধী, বাংলা-বিরোধী এবং জমিদার বিজেপি বলে সম্বোধন করি। আগামী ১০ মার্চ আয়োজিত হতে চলা ‘জনগর্জন সভা’য় মানুষ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।”
advertisement
আসানসোলে দলের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় রাজনীতিক। আমি আসানসোলে এসেছি একজন সৈনিক হিসাবে। গতবার আমরা নয়া রেকর্ড গড়েছিলাম এবং আমাদের নেতৃত্বের বিশ্বাস, সেই রেকর্ড এবার আমরাই ভেঙে দেব। আমাদের জেলা নেতারা যেমন বললেন, জয়ের ব্যবধান ৩ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৪-৫ লক্ষে নিয়ে যাওয়াই আমাদের এবারের লক্ষ্য।’’
advertisement
শত্রুঘ্ন সিনহা এবং মলয় ঘটকের গলায় একই সুর শোনা গেল। তাঁরা দু’জনেই পবন সিংয়ের মিউজিক ভিডিয়ো ও তাঁর গানের সমালোচনা করেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলেছিলেন, আসানসোলের প্রার্থী হিসাবে ফের একবার শত্রুঘ্ন সিনহার নাম ঘোষণা করা হবে, তা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি ছিলেন। আর সেই কারণেই এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষিত হতেই পবন সিং পালিয়ে বাঁচলেন।’’
advertisement
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘‘বিজেপির ঘোষণার পর শত্রুঘ্ন সিনহা পবন সিংকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং আসানসোলের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে তাঁকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, পবন সিং যখনই ‘গ্রাউন্ট রিপোর্ট’ পেলেন, বুঝে গেলেন এখানেই কেউই শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করতে পারবেন না। বিজেপির এমনই অবস্থা যে প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। যাঁকে প্রার্থী হিসাবে খাড়া করা হল, তিনিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পালিয়ে গেলেন।’’
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, যিনি সেই নেতাদের অন্যতম, যিনি প্রথম পবন সিংয়ের প্রার্থীপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি একটি নারীবিদ্বেষী দল। লোকসভায় তাঁদের মহিলা সাংসদদের অংশীদারিত্ব মাত্র ১৩ শতাংশ। বাঙালি ভাবাবেগ বিজেপি কোনও দিন বুঝবে না। ওরা ভেবেছিল, পবন সিংকে প্রার্থী করে অবাঙালি ভোট ব্যাঙ্কের ফায়দা তুলবে। যে ব্যক্তির গানের কথা বাঙালি নারী-বিরোধী, তাঁকে কীভাবে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দিতে পারে বিজেপি? কোনও প্রার্থীরই সম্মতি ছাড়া তাঁকে টিকিট দেওয়া যায় না। এর থেকেই প্রমাণিত পবন সিং বাধ্য হয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থী হিসাবে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে। এমনকী, এদিন সকালেও পবন সিং সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং তাঁর প্রার্থীপদকে সমর্থন করেছেন অমিত মালব্য। এই হঠাৎ পটপরিবর্তন আসলে বিজেপির মধ্যেই একটি ‘টেকটনিক শিফ্ট’। কিন্তু, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। পবন সিংকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত বাঙালি মহিলাদের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।’’
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Pawan Singh: পবন সিংয়ের সরে দাঁড়ানো, ‘বাংলার মানুষের জয়...’ ভোট প্রচারে ব্যবহার শুরু তৃণমূলের
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
  • চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

VIEW MORE
advertisement
advertisement