Bengali News: ৪-৫ বছর ধরে ফ্লাড সেন্টারেই ওদের 'ঠাঁই', কচিকাঁচাদের এই হাল শুনলে অবাক হবেন

Last Updated:

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা আতঙ্কিত হলেও প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিডিও থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি

+
স্কুল 

স্কুল 

হুগলি: স্কুলের নিজস্ব শ্রেণিকক্ষের একেবারে বেহাল দশা। তাই বাধ্য হয়ে সরকারি ফ্লাড সেন্টারে চলছে পড়াশোনা। বন্যা দুর্গতদের মত সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এই দৃশ্য দেখা গেল পুরশুড়া ব্লকের রনবাগপুর বিভাবতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ফ্লাড সেন্টারে এই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের জন্য একটিমাত্র শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে গাদাগাদি করে চলছে পঠন-পাঠন। প্রত্যেকদিন ভেঙে ভেঙে হয় ক্লাস। কারণ মূল স্কুলের বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এতে যে পুরোপুরি বিপদ কেটেছে এমন নয়। স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ওই বিপজ্জনক শ্রেণিকক্ষের বাইরে ঘুরে বেড়ায়। তাই যেকোনও মুহূর্তে পিলার ভেঙে বা ছাদ পড়ে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা।
advertisement
advertisement
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা আতঙ্কিত হলেও প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিডিও থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরফলে জীবন হাতে করে স্কুল করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এই বিষয়ে এক অভিভাবক বলেন, স্কুলের যা অবস্থা তাতে আমাদের ছেলেকে স্কুল পাঠাতে ভয় হয়। যখন-তখন স্কুলের ছাদের চাঙর ভেঙে মাটিতে এসে পড়ে। তাল গাছের কাণ্ড দিয়ে ছাদ আটকে কিছুদিন ক্লাস করানো হয়েছিল। তারপর শিক্ষকেরা ভয় পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যান।
advertisement
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অষ্টম কুমার পাখিরা বলেন, আমাদের ক্লাসরুমের অবস্থা খুবই খারাপ। বাধ্য হয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে ফ্লাড সেন্টারে। একসঙ্গে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, শ্রেণির ক্লাস করতে হয়। তার মধ্যে প্রথম শ্রেণীর ক্লাস একটি নিজস্ব শ্রেণিকক্ষে চলছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
advertisement
এই বিষয়ে পুড়শুড়া ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ স্বরূপ ঢালির বক্তব্য, ঘটনাটা সত্যি। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানানো হয়েছে। দ্রুত স্কুল মেরামত করার আশ্বাস দেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
শুভজিৎ ঘোষ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengali News: ৪-৫ বছর ধরে ফ্লাড সেন্টারেই ওদের 'ঠাঁই', কচিকাঁচাদের এই হাল শুনলে অবাক হবেন
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement