Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার আগে লাইনচ্যুত হল আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। এই ঘটনায় যাত্রীদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের প্রবল দুর্ভোগ পোহাতে হলো।করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। তারই মধ্যে একটি এই রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। সোমবার বেলার ১০ টা ২৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয। মেরামতের পর বেলা একটা নাগাদ ট্রেনটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় বর্ধমান স্টেশনে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।
বর্ধমান স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে ঢুকছিল হাওড়া থেকে ছেড়ে আসা আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। বর্ধমান স্টেশন প্লাটফর্মে ঢোকার প্রায় তিনশো ফুট আগে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনের পরের লাগেজ বগির চাকা রেললাইন থেকে অন্তত আড়াই ফুট দূরে সরে যায়। দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। যাত্রীরা বলছেন, সেই সময় ট্রেনটি খুব ধীর গতিতে চলছিল। হঠাৎই জোর শব্দ হয়।ঝাঁকুনিও হয়। এরপর দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। বেশ কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি না চলায় জানা যায় সামনের দিকের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।সেজন্যই ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা বলছেন, পেছনের দিকের কামরার যাত্রীরা তেমন কিছু টের পায়নি। সামনের দিকের যারা ছিলেন তারা ঝাঁকুনি অনুভব করেন বেশি মাত্রায়। তবে ট্রেনটি গতি অনেক বেশি থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটলে তা কতটা বীভৎস আকার নিতে পারত তা ভেবে শিউরে উঠছেন অনেকেই।
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে লাইনচ্যুত হওয়া বগিটিকে সরানোর কাজ শুরু করেন। শুরু হয় লাইন মেরামতের কাজ। প্রথমে লাইনচ্যুত বগিটিকে ট্রেন থেকে আলাদা করা হয়।বাকি কামরাগুলিকে প্রথমে যাত্রীসহ পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অন্য লাইন দিয়ে ট্রেনটিকে বর্ধমান স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বেলা একটা বেজে এক মিনিট নাগাদ ট্রেনটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কি কারনে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হল, রেললাইনে কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা নজর এড়িয়ে গেল কিভাবে- সেসব খতিয়ে দেখছেন রেলের বিশেষজ্ঞরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Train Accident