ছাড়পত্র মিললেও বেলা গড়াতেই বাস উধাও! হয়রানির শিকার যাত্রীরা 

Last Updated:

বিধি নিষেধ আরও শিথিল করে আজ থেকেই বাস চলাচলে ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেসরকারি বাস পথে নামলেও যাত্রীর দেখা না পেয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যায় সেগুলিও।

#বর্ধমান: বিধি নিষেধ আরও শিথিল করে আজ থেকেই বাস চলাচলে ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেসরকারি বাস পথে নামলেও যাত্রীর দেখা না পেয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যায় সেগুলিও। ফলে বাস চলবে ভেবে যারা পথে নেমেছিলেন তারা বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরতে নাকাল হলেন। রীতিমতো দুর্ভোগের মুখে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এদিন হুগলির বৈঁচির বাসিন্দা বিনয় ঘোষ বর্ধমানে কাজে এসেছিলেন। ফেরার সময়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আলিশা বাসস্ট্যাণ্ডে কোনও বাসের দেখা পাননি। জানিয়েছেন, রীতিমতো হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সরকারি ঘোষণা শুনেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যত রাস্তায় কোনও বাসের দেখাই তিনি পাননি।
একই অবস্থার শিকার হয়েছেন গলসীর বাসিন্দা শেখ সাগর আলি। তিনি জানিয়েছেন, এদিন তিনি ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি।
advertisement
advertisement
সরকারি ঘোষণা হলেও কার্যত বাস মালিকরা বাস চালানোর সাহস দেখাতে পারেননি। এদিন বর্ধমান টাউন সার্ভিস বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সিদ্ধার্থ পাল জানিয়েছেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা বুধবারই সংগঠনের বৈঠক করে সমস্ত মালিককে বাস চালানোর কথা জানিয়ে দেন। এদিন সকালে গোটা পাঁচেক বাস চলেও। কিন্তু কোনও যাত্রী না মেলায় তাও বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
advertisement
তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে ট্রেন বন্ধ, বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ, প্রতিষ্ঠান, বাজার। ফলে বাইরের লোক আসতে পারছেন না। একইসঙ্গে বর্ধমান শহরের মধ্যে দিয়ে বাইরের রুটের বাস যাতায়াত বন্ধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে সবদিক থেকে তাঁরা মার খাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, একবার বাস চালালে তাঁদের যে জ্বালানি খরচ হয় সেই টাকাও তোলা যাচ্ছে না যাত্রী অভাবের দরুণ। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁরা বাস বন্ধ করে দিয়েছেন।
advertisement
তবে তাঁরা আশাবাদী রাজ্য সরকার তাঁদের ট্যাক্স, জিএসটি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কিছু ছাড়পত্র দিলে তাঁদের আর্থিক লোকসান কমবে। একইসঙ্গে বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরি। এখন বর্ধমানে বাসের ন্যূনতম ভাড়া ৮টাকা। অথচ টোটোর ভাড়া ১০ টাকা। ফলে অনেকেই বাসের পরিবর্তে টোটোয় কাজ সেরে ফেলছেন। এই বিষয়টি নিয়েও সরকারের ভাবা দরকার। নাহলে গোটা বাস পরিষেবাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
advertisement
Saradindu Ghosh 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ছাড়পত্র মিললেও বেলা গড়াতেই বাস উধাও! হয়রানির শিকার যাত্রীরা 
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement