Bardhaman News: পর্যটক টানতে সাজানো হোক পরিকাঠামো, চাইছে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের গ্রাম

Last Updated:

ইতিহাস প্রেমীদের অনেকে এখানে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে এই এলাকার আকর্ষণ বাড়াতে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিক প্রশাসন।

পর্যটক টানতে সাজানো হোক পরিকাঠামো, চাইছে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের গ্রাম
পর্যটক টানতে সাজানো হোক পরিকাঠামো, চাইছে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের গ্রাম
বর্ধমান: বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে সংস্কার হলেও সেখানে পর্যটক টানতে জেলা প্রশাসনের তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটের পাশে একটি সংগ্রহশালা তৈরি হলেও সেখানে এখনও দেখার মতো কিছুই নেই। শুধু বটুকেশ্বর ও ভগৎ সিং-এর আবক্ষ মূর্তি রয়েছে সেখানে। ইতিহাস প্রেমীদের অনেকে এখানে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে এই এলাকার আকর্ষণ বাড়াতে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিক প্রশাসন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলতে গেলে যে দামাল ছেলেদের কথা সর্বপ্রথম উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, ভগৎ সিংরা। এই দামাল ছেলেরাই গড়ে তুলেছিলেন সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন। হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে পা রেখেছিলেন তাঁরাই। বটুকেশ্বর দত্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন ওতপ্রোতভাবে। কারণ বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে। সেখানেই জন্মভিটের পাশের বাড়িটি ছিল বটুকেশ্বর দত্তের বন্ধু নগেন্দ্রনাথ ঘোষের। ওই বাড়ির পাতাল ঘরেই টানা ১৫ দিন আত্মগোপন করেছিলেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও বিপ্লবী ভগৎ সিং।
advertisement
advertisement
সালটা ছিল ১৯২৮। লাহোরে সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের ডাক দেন লালা লাজপত রায়। তাদের এই মিছিল স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলেছিল ব্রিটিশ পুলিশকে। বিক্ষোভ থামাতে লালার ওপর চার্জের নির্দেশ দেন ব্রিটিশ অফিসার জেমস স্কট। এই নিন্দনীয় অপরাধের শাস্তি স্বরূপ স্কটকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাজগুরু, ভগৎ সিংরা। কিন্তু ভুল করে স্কটকে হত্যা করতে গিয়ে স্যান্ডার্সকে হত্যা করে বসেন তাঁরা। এরপরই পঞ্জাব ছেড়ে পালানো, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখানে সেখানে লুকিয়ে থাকতে থাকতে অবশেষে বাংলায় পৌঁছন ভগৎ সিং। আশ্রয় নেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে। এই অবস্থায় তাঁরা আশ্রয় নেন নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে। বটুকেশ্বর জানতেন এই বাড়িতে রয়েছে একটি পাতালঘর। আর সেই পাতালঘরেই এই বিপ্লবীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। খণ্ডঘোষে পুলিশি তল্লাশি শুরু হলেও বিপ্লবীদের খুঁজে বের করতে পারেনি ব্রিটিশরা। তার অন্যতম কারণ এই পাতালঘরটি। পুরনো জরাজীর্ণ বাড়িটিতে দেওয়াল কেটে কাঠের দরজা লাগানো ছিল। পাল্লার সামনে থাকত প্রসাধনী সামগ্রী। তাই কিছুতেই বোঝার উপায় ছিল না সেটি আসলে একটি পাতালঘরের পথ।
advertisement
এই পাতাল ঘরেই নাকি ব্রিটিশ গণপরিষদে বোমা ফাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ভগৎ সিং। পরে সেখান থেকেই রাতের অন্ধকারে তাঁরা গ্রাম ছেড়ে দিল্লি পৌঁছান। বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলেও নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িটি এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বটুকেশ্বর দত্তের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতায় বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িতেই করা হয়েছে একটি পাকা বাড়ি, পর্যটকদের জন্য এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে। বাড়িটির ভিতরে করা হচ্ছে বটুকেশ্বর দত্তের মিউজিয়াম। তৈরি হবে গ্রন্থাগার। সেই কাজ দ্রুত শেষ হোক চাইছেন বাসিন্দারা।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bardhaman News: পর্যটক টানতে সাজানো হোক পরিকাঠামো, চাইছে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের গ্রাম
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement