Old Age Home: পরিবারে জায়গা না পেলেও 'এখানে' নিজের হিসেবেই বাঁচেন প্রবীণরা! শান্তির ঠিকানা পেতে কত খরচ হবে জানুন

Last Updated:

Bankura Old Age Home: প্রশ্নহীন আশ্রয় আর মানবিক যত্নে এই আশ্রম প্রমাণ করে দিচ্ছে, বৃদ্ধাশ্রম মানেই শেষ নয়, অনেকের কাছে জীবনের নতুন শুরু।

+
আবাসিকরা

আবাসিকরা ব্যস্ত কাজে

বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রশ্ন নেই, জেরা নেই, অতীতের হিসাব চাওয়ার কোনও তাগিদও নেই। শুধু একরাশ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে যাঁরা আসেন, তাঁদের জন্য এখানে খোলা থাকে শান্তির দরজা। বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন বিকনায় অবস্থিত ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যা বিনোদ বৃদ্ধাশ্রম। যা শুধুমাত্র একটি বৃদ্ধাশ্রম নয়, বরং উপেক্ষিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য নতুন করে বেঁচে থাকার এক মানবিক আশ্রয়। বাঁকুড়া বললে ভুল হবে, একসময় গোটা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং সম্পূর্ণ জঙ্গলমহল বেল্টেই কোনও পরিকল্পিত বৃদ্ধাশ্রম ছিল না।
পরিবারে অবহেলা, মানসিক যন্ত্রণা আর নিঃসঙ্গতা নিয়ে বহু প্রবীণ মানুষের শান্তিতে দিন কাটানোর কোনও নিরাপদ স্থান ছিল না। সেই অভাব থেকেই জন্ম নেয় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয় এই মানবিক যাত্রা। বাঁকুড়ার একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি নিজেদের উদ্যোগে, ব্যক্তিগত অর্থসাহায্য ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের সহায়তায় গড়ে তোলেন এই বৃদ্ধাশ্রম। প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যতম ভূমিকা ছিল প্রখ্যাত চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডক্টর লালমোহন গাঙ্গুলী, অধ্যাপক লীলাময় মুখোপাধ্যায়ের।
advertisement
advertisement
বর্তমানে ডক্টর লালমোহন গাঙ্গুলীর পুত্র উজ্জ্বল গাঙ্গুলী এই আশ্রমের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। উজ্জ্বল গাঙ্গুলী জানান, এই আশ্রমের জন্য জমি দান করেছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী বিষ্ণু বাজোরিয়া। সেই দান আজ বহু প্রবীণ মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আশ্রমে রয়েছে মোট ২৩টি ঘর। প্রতিটি ঘরেই রয়েছে আলাদা বাথরুম। যাতে প্রবীণদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা হয় স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মর্যাদাপূর্ণ। ভরতি হওয়ার সময় এককালীন ডেভেলপমেন্ট চার্জ হিসেবে নেওয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। মাসিক খরচ ৬,৫০০ টাকা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়া এককালীন ১০ হাজার টাকা মেডিকেল ফি নেওয়া হয়, যা আশ্রম ছাড়ার সময় ফেরত দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে আশ্রমে রয়েছেন ১৯ জন আবাসিক। শুধু বাঁকুড়া জেলা থেকেই নয়, শিলিগুড়ির মত দূরবর্তী এলাকা থেকেও প্রবীণরা এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁরা প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে এখানে আসেন, কয়েক বছর থাকার পর যখন পরিবারের কাছে ফিরে যান বা চিরবিদায় নেন, তখন তাঁদের চোখে জল দেখা যায়। সেই জল কখনও কৃতজ্ঞতার, কখনও শান্তির। কারণ এই আশ্রমের মূল মন্ত্র একটাই, মানুষকে আনন্দে রাখা, সম্মান দিয়ে বাঁচতে শেখান। ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যা বিনোদ বিশ্বাশ্রম আজ প্রমাণ করে দিচ্ছে, বৃদ্ধাশ্রম মানেই শুধুই শেষ ঠিকানা নয়, এও হতে পারে জীবনের নতুন শুরু।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Old Age Home: পরিবারে জায়গা না পেলেও 'এখানে' নিজের হিসেবেই বাঁচেন প্রবীণরা! শান্তির ঠিকানা পেতে কত খরচ হবে জানুন