East Bardhaman News: চপ বেচে উন্নতি করেছেন হিমাংশু সেন, আজও ১ টাকায় বিক্রি করেন চপ
- Published by:Salmali Das
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
East Bardhaman News: বর্তমান বাজারে যেখানে চা এর দামই ৫ টাকা থেকে শুরু, সেখানে যদি কেউ বলেন, মাত্র ১ টাকাতেই পাওয়া যায় চপ, সিঙ্গাড়া ও আরও নানা মুখরোচক আইটেম। নিশ্চয় শুনে কিছুটা বিস্মিত হবেন। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের এক ব্যক্তি, হিমাংশু সেন।
পূর্ব বর্ধমান: বর্তমান বাজারে যেখানে চা এর দামই ৫ টাকা থেকে শুরু, সেখানে যদি কেউ বলেন, মাত্র ১ টাকাতেই পাওয়া যায় চপ, সিঙ্গাড়া ও আরও নানা মুখরোচক আইটেম। নিশ্চয় শুনে কিছুটা বিস্মিত হবেন। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের এক ব্যক্তি, হিমাংশু সেন। যিনি স্থানীয়দের কাছে ‘বেচা’ নামে পরিচিত। তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। হিমাংশু সেনের দোকানে মাত্র ১ টাকায় চপ, সিঙ্গাড়া, ফুলুরি, ভেজিটেবল চপ পাওয়া যায়, আর ২ টাকায় এক প্লেট ঘুগনি। তবে শুধু চপ-তেলেভাজাই নয়, তাঁর দোকানে বিক্রি হয় রসগোল্লা, পান্তুয়া, ল্যাংচা ও মাখা সন্দেশ, সবই স্থানীয়দের সাধ্যের মধ্যে। প্রতিদিন দুপুর ৩টে সময় দোকান খোলা হয়, তারপর আর দম ফেলার সময় থাকে না! রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে।
এই ব্যবসা শুধুমাত্র হিমাংশুবাবুর একার নয়, বরং স্ত্রী বন্দনা দেবী, ছেলে কাশীনাথ ও পুত্রবধূ শম্পা সবাই মিলেই দোকানের কাজ সামলান। হিমাংশু বাবু বলেন, “৩২ বছর ধরে আজও দাম বাড়েনি। ১ টাকাতেই সব বিক্রি করি।” তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ১ টাকাতেই চপ বিক্রি করছেন হিমাংশুবাবু। বর্তমান বাজারে যেখানে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, সেখানে তিনি কীভাবে এত কম দামে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? হিমাংশু বাবু জানিয়েছেন যে, একসময় তাঁদের পরিবার খুবই আর্থিক সংকটে ছিল। তখন তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সেন বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজতে চপের দোকান খোলেন। সেইসময় তিনি স্থানীয় মানুষের আর্থিক অবস্থা বুঝেই ৫০ পয়সা দরে চপ বিক্রি শুরু করেন। তারপর থেকে হিমাংশু বাবুর আমলে গত ৩২ বছরে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০ পয়সা।
advertisement
advertisement
সবমিলিয়ে এখন ১ টাকাতেই পাওয়া যায় তেলেভাজা। এলাকার গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই তাঁর দোকানের প্রধান ক্রেতা। স্বল্প মুনাফায় অধিক বিক্রিই তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। হিমাংশু বাবু আরও বলেন, “সকলের কথা ভেবে দাম বাড়ায়নি। বিক্রি বেশি হলে তারই মধ্যে আমারও কিছু লাভ হয়। আমার কাছে দূর দূর থেকে অনেক মানুষ আসেন। আমি যতদিন থাকবো চেষ্টা করবো ১ টাকাতেই বিক্রি করার।” দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ এসে ভিড় জমান এই দোকানে। সেরকমই আব্দুল হাকিম নামের এক ক্রেতা বলেন, “ছোট থেকে ১ টাকাতেই খেয়ে যাচ্ছি। এখনও স্বাদ ভুলতে পারিনি , তাই যখনই মন হয় চলে আসি।”
advertisement
হিমাংশুবাবু ১ টাকার চপ বেচে সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। ধুমধাম করে বিয়েও দিয়েছেন মেয়ের। বাড়িঘর সংস্কার করেছেন, এমনকী পুরানো দোকানের পাশেই নতুন দোতলা বাড়িও তৈরি করেছেন। হিমাংশু সেন শুধু ব্যবসায়ী নন, তিনি মানুষের কথা ভাবেন। তাঁর সততা, পরিশ্রম ও ব্যবসায়িক বুদ্ধি সত্যিই প্রশংসনীয়। বাজার যতই উঠুক, তাঁর দোকানে ১ টাকার চপ পাওয়া যাবে— এটাই যেন আজ জামালপুরের অলিখিত নিয়ম!
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 23, 2025 7:36 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: চপ বেচে উন্নতি করেছেন হিমাংশু সেন, আজও ১ টাকায় বিক্রি করেন চপ