West Medinipur News: বাঁশেই বুনছে জীবন, শিল্পীদের আশঙ্কা পরম্পরা জিইয়ে রাখায়

Last Updated:

বাজার ছেয়েছে প্লাস্টিকে। প্লাস্টিকের জিনিসের রমরমার কারণে বিক্রি কমেছে বাঁশের জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা।

+
ঝুড়ি

ঝুড়ি বুনছেন শিল্পী

রঞ্জন চন্দ  ,পশ্চিম মেদিনীপুর: সামান্য একটি বাঁশ, হাতের শিল্প নিপুণতায় তৈরি হচ্ছে একের পর এক মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারে নানা জিনিস। এভাবেই বংশ-পরম্পরায় বেশ কয়েকটি পরিবারের আর্থিক রুটি রুজির একমাত্র মাধ্যম এটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁশ এনে, তাকে কেটে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় একাধিক জিনিস। যা গৃহস্থলীর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা কাজে লাগে। তবে বর্তমান দিনে বিজ্ঞান উন্নতিতে প্রয়োজন হয় না এই বাঁশের তৈরি জিনিসের। সেই জায়গায় স্থান পেয়েছে প্লাস্টিকের। তবে এখনও এখনো বংশ পরম্পরায় টিকিয়ে রেখেছেন তাদের এই পেশাকে।
ছোট্ট একটা গ্রাম। সকালের রোদ উঠলেই সাহারা গ্রামের একটা কোণায় জীবনের এক অন্যরকম সুর বেজে ওঠে। বাঁশের খচখচে শব্দে ভরে ওঠে উঠোন। কোনও শব্দ নয়, যেন আত্মার আর্তি! দিন চলে, জীবন কাটে… কিন্তু বাঁচা কি চলে? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের ভরসা পূর্বপুরুষদের এই কাজ। কাঁচা বাঁশ কেটে তাকে নানা ভাবে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা। কিন্তু এভাবে কি দিন চলে?
advertisement
advertisement
এই গ্রামের ডোম পরিবারের মানুষেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁশ কেটে তৈরি করছেন ঝুড়ি, কুলো, চালুনি, দোনি। শুধু জিনিস নয়, তাঁরা যেন নিজেদের অস্তিত্বই বুনে চলেছেন প্রতিটি ফাঁকে ফাঁকে। তাঁদের হাতের কাজ আজও গ্রামের বাজারে বিক্রি হয়, আর সেই সামান্য আয়ে চলে তাঁদের জীবনযুদ্ধ। বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ কিনে এনে তাকে কেটে শুকিয়ে হাতের কায়দায় বানিয়ে তোলেন এই সকল জিনিস।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুরতে ভালবাসলে যেতে পারেন নতুন এই জায়গায়! গোটা গ্রামে সবাই শিল্পী, ঘুরে দেখুন এমন গ্রাম
বাড়ির বড়দের থেকে শিখে কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা তৈরি করছেন। যে দামে বাঁশ কিনে আনেন, সেই দামের তুলনায় লাভ হয় না বললেই চলে। তাও কোনওভাবে দিন গুজরান হয় তাদের। ৭০ ছুঁই ছুঁই রেনু ঘোড়াই চোখে জল নিয়ে বলেন,”জানি না আর কতদিন পারব। ছোটবেলা থেকে বাঁশ কাটি, ঝুড়ি বানাই। কষ্ট করি, রাত জেগে কাজ করি। কিন্তু দাম তো মেলে না—তাও এই দিয়েই খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। প্রশাসন কি জানে, আমরা আছি?”
advertisement
ছোট থেকেই এই বাঁশের সঙ্গে দিন শুরু। সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে সামান্য কিছু টাকা রোজগার হয় এই বাঁশের নানা জিনিস তৈরি করে। অভাব বাড়ছে সংসারে। সমাজে বাড়ছে প্রতিকূলতা। বাজার ছেয়েছে প্লাস্টিকে।
প্লাস্টিকের জিনিসের রমরমার কারণে বিক্রি কমেছে বাঁশের জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা। তারা চান সরকারি সহযোগিতা। বছরের পর বছর বাঁশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নেই কোনও শিল্পীর স্বীকৃতি। আগামীতে সময়ের উন্নতিতে কি হারিয়ে যাবে গ্রামীণ এই শিল্প, নাকি সরকারি সাহায্য পেলে নতুন প্রাণ ফিরে পাবে এই বাঁশ শিল্প, তা বলবে সময়।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: বাঁশেই বুনছে জীবন, শিল্পীদের আশঙ্কা পরম্পরা জিইয়ে রাখায়
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement