বন্ধ হল আমিষ ভোগ-পশুবলি, আমডাঙ্গার মা করুনাময়ী কালী মন্দিরে বদলাল নিয়ম
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
হাজার হাজার ভক্তের সমাবেশ হয় এই মন্দিরে প্রতি বছর কালী পূজার রাতে। ভক্তরা তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য ছাগল দান করতেন বলির জন্য।
#আমডাঙ্গা: আমডাঙ্গার মা করুনাময়ী কালী মন্দির। রাজকৃষ্ণ চন্দ্র নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন পলাসীর যুদ্ধের পরে। নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা আক্রমণের সময় রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের সহযোগিতা নিয়েছিলেন।এই আমডাঙ্গা কালী মন্দিরে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ডেরা বেঁধে ছিলেন তিনি।নবাব সিরাজদৌল্লার সহযোগী রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র আমডাঙ্গার করুনাময়ী মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে তাঁর মনকামনা পূরণ হলে তিনি মা করুনাময়ীর জীর্ন মন্দির সাজিয়ে দেবেন।তাঁর মনস্কামনা পূরণ হবার পর তিনি ৩৬৫ বিঘা জমি দান করেন মন্দিরের নামে।আর সুন্দর করে বানিয়ে দেন এই মন্দির। দাবী আমডাঙ্গা কালী মন্দির মঠের সম্পাদক অর্ধেন্দু বিশ্বাসের।
ইতিহাসের প্রাক্তন শিক্ষক জানান মন্দির অত্যন্ত প্রাচীণ রীতির পরিবর্তন করা হয়েছে এবছর।বরাবরই এই মন্দিরে মা করুনাময়ীকে অমিষ ভোগ দেওয়া হত।আর কালী পূজার রাতে বিশেষ ভাবে মায়ের জন্য অমিষ রান্না হত নানা পদের।তাতে মাছ ,মাংস ইত্যাদি থাকত।হাজার হাজার ভক্তের সমাবেশ হয় এই মন্দিরে প্রতি বছর কালী পূজার রাতে। ভক্তরা তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য ছাগল দান করতেন বলির জন্য।এই মন্দিরে মা করুনাময়ী সারা বছর থাকেন মন্দিরে দ্বিতীয় তলে। কালী পূজা আর ২৫শে ডিসেম্বর মেলার দিন মা দ্বিতীয় তল থেকে নেমে আসেন।আর কালী পূজার রাতে মায়ের সামনে বলি হয় একের পর এক ছাগল।এবার সেই রীতি বন্ধ করা হয়েছে তারকেশ্বর মন্দিরের মহন্তের নির্দেশ। করুনাময়ী মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক অর্ধেন্দু বিশ্বাস এই দিন বলেন তারকেশ্বর মন্দিরের মহন্ত তাঁদের মন্দিরের মহন্ত।তাই তার নির্দেশেই মাকে আমিষ ভোগ দেওয়া ও বলী প্রথা তাঁরা বন্ধ করেছেন।
advertisement
তিনি আরও জানান মা করুনাময়ীকে ১৫৬১ সালের দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধের পর আকবরের সেনাপতি মানসিং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।দেবী যশোরেশ্বরী কে আম্বর ফোর্টে প্রতিষ্ঠার সময় স্বপ্নাদেশ পান মানসিং এই আমডাঙ্গায় মা করুনাময়ীকে প্রতিষ্ঠার। তাঁর সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তিই হলেন মা করুনায়ী, দাবী অর্ধেন্দু বিশ্বাসের।আর আকবরের সেনাপতি মানসিং এর তৈরি করে দেওয়া মূ্র্তিও, দাবী তাঁর।করোনা
advertisement
advertisement
অতিমারির কারণে এ বছর ভীড় নিয়ন্ত্রণ ও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।তার দাবী ৩০ জন করে প্রতি ব্যাচে ভক্ত মায়ের কাছে এসে নিজের পূজা দিয়ে যেতে পারবেন এবার।সন্ধ্যায় দ্বিতল থেকে নামানোর আগে বারান্দায় মাকে বসিয়ে,মায়ের সামনে আঁখ, চাল কুমড়ো, কলা বলি করা হয়।তার পর মায়ের এস্টেট তাঁকে ঘুরিয়ে দেখানো হয়।তারপরই নিয়ে আসা হয় মাকে নাটমন্দিরে।সেখানেই চলে রাত ভোর মায়ে পূজা।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 15, 2020 8:13 AM IST