Hooghly News: প্রায় ধ্বংস হতে বসা নন্দীবাড়ির দালান আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে হাটবসন্তপুরে

Last Updated:

হুগলির আরামবাগের হাটবসন্তপুর গ্রামের জমিদার ছিল নন্দীরা। প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে নন্দীবাড়ির দালানে শুরু হয় সপরিবারে হরগৌরীর পুজো।প্রাচীন জমিদারি প্রথা মেনেই আজও পুজো হয় নন্দিবাড়ীর দুর্গা দালানে।

+
নন্দীবাড়ির

নন্দীবাড়ির দালান

আরামবাগ: বদলে গেছে কত কিছুই, তবুও প্রায় ধ্বংস হতে বসা নন্দীবাড়ির দালান আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে হাটবসন্তপুরে। সময়টা ছিল ব্রিটিশ শাসনকাল। সেই সময় হুগলির আরামবাগের হাটবসন্তপুর গ্রামের জমিদার ছিল নন্দীরা। তৎকালীন সময়ে নন্দীবাড়ির কোন এক বংশধর দালানে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন । তা প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগেকার কথা। তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েক পুরুষ। বর্তমানে জমিদারের বংশধরেরা সেই রাজ ঐতিহ্য সেভাবে ধরে রাখতে পারেনি।
সেই সময়ের নন্দী বাড়ির দালানের সঙ্গে আজকের স্থাপত্যের পার্থক্য অনেকটাই। তবে প্রাচীন জমিদারি প্রথা মেনেই আজও পুজো হয় নন্দিবাড়ী দুর্গা দালানে। জমিদারি প্রথা না থাকলেও এখনও সেই ঐতিহ্যবাহী নাম রয়ে গেছে নন্দিবাড়ীর। গ্রামের মানুষ এই নন্দী বাড়ী নামেই চেনেন সবাই। তবে অন্যান্য সময়ে কেউ খোঁজ খবর না রাখলেও দুর্গা পুজোতে নন্দীর দালানে  প্রতিমা দর্শন করতে একবারের জন্য হলেও আসেন গ্রামের বাসিন্দারা ।পাকা ইটের দেওয়াল চুন সুরকির গাঁথুনি উপরে ও কড়ি কাঠের পাটাতন। সেই প্রাচীন কালের তৈরি জমিদার বাড়ি । বেশিরভাগ অংশই প্রায় ভগ্নদশা ।কোন রকমে টিকে আছে এই দালান টুকু। একসময়ে দুর্গাপূজাতে এই নন্দীবাড়ির জমিদারের বংশধরেরা নিমন্ত্রণ করে গোটা গ্রামের ব্রাহ্মণ ভোজন ও নর নারায়ণ সেবা করতেন, এখন আর তা সম্ভব হয়নি ।
advertisement
advertisement
পরিবারে সদস্য সংখ্যা বাড়লেও তা ছোট ছোট পরিবারে ভাগ হয়ে গেছে অনেকগুলি পরিবারে। পরিবারের অনেক সদস্যই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বা কলকাতায় কর্মসূত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন । এছাড়াও কেউ আবার কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছে বিদেশে । তারা আর সেইভাবে এই জমিদার বাড়িতে যোগাযোগ রাখেনা। বর্তমানে কয়েকজন সদস্য হাটবসন্তপুর গ্রামের নন্দী বাড়িতেই থাকেন তারাই এই পুজোটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পরিবারের সদস্য প্রশান্ত কুমার নন্দী জানান, আমার বয়স প্রায় ৮০ বছর বাপ ঠাকুরদার আমল থেকেই দেখে আসছি আমাদের পুজো। নন্দী বাড়িতে দেবী দুর্গার রূপ হর পার্বতী এখানে শিব ও দেবী দুর্গার দুটি করে হাত । সঙ্গে থাকেন কার্তিক, গণেশ ,লক্ষ্মী, সরস্বতী,কলা বউ, জয়া ও বিজয়া তবে কোনো অসুরের মূর্তি থেকে না।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
সপরিবারে এখানে বিরাজ করেন দেবী।
Suvojit Ghosh
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly News: প্রায় ধ্বংস হতে বসা নন্দীবাড়ির দালান আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে হাটবসন্তপুরে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement